বরিশালকে বড় লক্ষ্যই দিলো চিটাগং

২০ ওভারের ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাওয়াজা নাফেই খেললেন ১২ ওভারের বেশি। তাতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় চিটাগং কিংস। এরপর পাকিস্তানি ব্যাটার নাফে আউট হলেও তিনে ঝড় তোলেন গ্রাহাম ক্লার্কও। তাতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশালের সামনে বড় লক্ষ্যই দাঁড় করিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের দল।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৪ রান করেছে চিটাগং কিংস। অর্থাৎ ফরচুন বরিশালকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে দলটি।

১৯০ এর উপরে রান তাড়ার করে জয়ের রেকর্ড বিপিএলে আছে মোটে পাঁচটি। আর ফাইনালে তো আরও কম এর আগে বিপিএলের ফাইনালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। ২০২৩ সালে সিলেট স্ট্রাইকার্সের দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা জিতেছিল দলটি। 

তবে পুঁজিটা বড় হতে পারতো আরও বড়। এক পর্যায়ে মনে হয়েছিল দুইশ রান হওয়া যেন সময়ের ব্যাপার। তবে শেষ চার ওভারে তেমন আগ্রাসী হতে পারেননি। ১৬ ওভারেই ১৬৩ রান তুলে ফেলা দলটি শেষ ২৪ বল রান তুলেছে ৩১। চিটাগংয়ের বড় পুঁজিতে এদিন দারুণ ব্যাটিং করেছেন ইমন। ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলে করেছেন ৭৮ রান। ৪৯ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায়। ৪৪ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৬ রান করেন নাফে। ২৩ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্লার্ক।

শুরুতে দুই ওপেনারই সাবধানী ব্যাটিং করেন। যদিও নাফে প্রথম দুই ওভারে একটি করে বাউন্ডারি মারেন। তৃতীয় ওভারে ইমন মারেন জোড়া বাউন্ডারি। ছন্দটা যেন তাতেই খুঁজে পান এই ওপেনার। তানভির ইসলামের করা পরের ওভারে একটি চার ও দুটি ছক্কা মেরে আগ্রাসনের শুরু করেন তিনি। তাতে পাওয়াল প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৭ রান পায় দলটি।

পাওয়ার প্লে শেষেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন এ দুই ওপেনার। নিয়মিত বাউন্ডারি মেরে ১১ ওভারে দলীয় শতক পূরণ করেন তারা। সে পথে নিজের টি-টয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন ইমন। তার ফিফটি পূরণ হওয়ার পর যেন তেতে ওঠেন নাফে। রিশাদ হোসেনের পরের ওভারের প্রথম দুই বলেই মারেন দুটি ছক্কা।

তবে ইবাদত হোসেনের করা পরের ওভারেও লংঅন দিয়ে দারুণ একটি বাউন্ডারি মারেন। তবে পরের বলে আরও একটি মারতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত হন নাফে। প্রথম সাফল্য পায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। ভাঙে ১২১ রানের জুটি।

এরপর উইকেটে নেমে আগ্রাসী ঢঙ্গেই শুরু করেন ক্লার্ক। ইমনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ৪০ বলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। তানভিরের করা ১৬তম ওভারে ক্লার্ক ও ইমন মিলিয়ে তিনটি ছক্কা মারেন। তবে শেষ চার ওভারে রানের গতিতে লাগাম দিতে পারে বরিশাল। তাতে দুইশ ছুঁতে পারেনি পুঁজি। 

Comments

The Daily Star  | English

Elections entirely Bangladesh's internal matter: Shafiqul

'Wounds caused by crimes against humanity perpetrated by AL still fresh,' says CA's press secretary

40m ago