'শুধু অংশ নিতে আসিনি,' আফগান অধিনায়কের হুঙ্কার

প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ করছে আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে তাতে সামান্য বিচলিত নন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। জয় তুলে নিতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী তারা। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে নিতে চায় দলটি।

গত বছর শারজাহতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে আফগানদের। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক আসরে ভালো পারফরম্যান্স তাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মাঠের নামার আগেই তাই প্রত্যয়ী আফগান অধিনায়ক।

'২০১৯ সালের দল আর এখনকার দলের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমরা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি, তাই আমাদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং আমরা কোনো ধরনের চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের দল এবং এই টুর্নামেন্টে কী করতে পারি, সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া, শুধু অংশ নিতে আসিনি,' বলেন শাহিদি।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রত্যয় জানিয়ে আরও বললেন, 'আমরা এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি এবং আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল জয়। গত দুই বছরে আমরা অনেক মানসম্পন্ন ক্রিকেট খেলেছি, দল অভিজ্ঞ এবং এখানকার কন্ডিশন আমাদের জন্য অনুকূল। তাই আমাদের ভালো সুযোগ রয়েছে।'

রহস্য স্পিনার আল্লাহ গজনফর ইনজুরির কারণে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও আফগানিস্তানের স্পিন শক্তি যথেষ্ট সমৃদ্ধ। রশিদ খান, নূর আহমদ, মোহাম্মদ নবি ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের মতো স্পিনাররা প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেন।

পাশাপাশি করাচির দর্শকদের সমর্থনও আফগানিস্তানের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে বলে মনে করেন শাহিদি, 'এখানে অনেক আফগান রয়েছেন, বিশেষ করে করাচি ও পাকিস্তানে বসবাসরত পশতু জনগোষ্ঠী আমাদের সমর্থন দেবে। গতকাল অনুশীলনের সময় প্রচুর দর্শক আমাদের জন্য চিৎকার করছিল, যা আমাদের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর মতো একটি অনুভূতি।'

২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছানো এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকিট কাটা—এ সবই আফগানিস্তানের উন্নতির প্রমাণ।

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

40m ago