চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

পরিত্যক্ত অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ, সমীকরণ কী দাঁড়াল?

ছবি: এএফপি

বৃষ্টির বাগড়া থামল না। রাওয়ালপিন্ডিতে সকাল থেকে অঝোর ধারায় ঝরতে থাকা বর্ষণেরই জয় হলো শেষমেশ। পণ্ড হয়ে গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির 'বি' গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচ।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে অফিসিয়ালরা ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা দেন। টানা বৃষ্টির কারণে হতে পারেনি টসও। খেলা শুরু করার জন্য বেঁধে দেওয়া সবশেষ সময় ছিল বাংলাদেশ সময় অনুসারে রাত ৮টা ৩২ মিনিট। কিন্তু আবহাওয়ার যা পরিস্থিতি, তাতে মাঠকর্মীদের পক্ষে এর আগে মাঠ খেলার জন্য উপযুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।

নিজেদের আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানকে পরাস্ত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দুই দল। ফলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা উভয়েরই পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে সমান ৩ করে।

'বি' গ্রুপের আরেক ম্যাচে আগামীকাল বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে লড়বে পয়েন্টের খাতা না খোলা দুই দল ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। ওই লড়াইয়ে যারা হারবে, তারা টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যাবে।

এরপর গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে, ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। নিজ নিজ ম্যাচে জিতলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা অনুমিতভাবেই উঠে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। তবে নিজ নিজ ম্যাচে হারলেও দুই দলের অন্তত একটি পাবে শেষ চারের টিকিট। আর গ্রুপের শেষ দুটি ম্যাচও পরিত্যক্ত হলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাই জায়গা করে নেবে সেমিতে।

ইসলামাবাদ ও এর যমজ শহর রাওয়ালপিন্ডির আবহাওয়া গত ১২ ঘণ্টায় হঠাৎ করেই অনেক বদলে গেছে। পাকিস্তানের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে গতকাল জানানো হয়েছিল, এই সপ্তাহে শহরটিতে বৃষ্টি হতে পারে এবং আগামী বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেদিনই টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

'এ' গ্রুপে থেকে ইতোমধ্যে সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। টানা দুটি করে জয়ে উভয়েরই অর্জন সমান ৪ পয়েন্ট করে। টুর্নামেন্ট থেকে বাংলাদেশ ও আয়োজক পাকিস্তানের বিদায় ঘণ্টাও বেজে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

National charter can lead to state reform: Prof Ali Riaz

He further said that their main objective is to reach the point of forming a national charter as swiftly as possible

33m ago