প্রিমিয়ার লিগেও ব্যর্থ মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ, রান পাননি তামিমও

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না জাতীয় দলের দুই অভিজ্ঞ তারকা মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। তাতে প্রচণ্ড সমালোচনায় বিদ্ধ হন। তবে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা চলছে প্রিমিয়ার লিগেও। ব্যর্থ হয়েছেন সদ্যই অবসর নেওয়া তামিম ইকবালও। তাতে লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নবাগত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের কাছে উড়ে গেছে মোহামেডান।
সোমবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ১০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতেখার হোসেন ইফতির সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৮ রান করে নবাগত দলটি। জবাবে ৪০.২ ওভারে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় মোহামেডান।
এবার জাতীয় দলের অনেক তারকা খেলোয়াড় নিয়ে বেশ শক্তিশালী দল গড়ে সাদা-কালোরা। তবে আলোচনা ছিল তামিমকে নিয়ে। মোহামেডানের অধিনায়ক আবার গুলশান ক্লাবের মালিকানায় আছেন। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় তাই তার দিকেই ছিল দৃষ্টি। কিন্তু ব্যাট হাতে ব্যর্থ। এর আগে নেতৃত্বেও দেখা যায়নি বিশেষ কিছু। তাতে বড় পুঁজিই গড়ে তরুণদের নিয়ে গড়া গুলশান।
রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ২২ বলে ২২ রান করে রাইয়ান আলী ইকরামের বলে আউট হন তামিম। রনিও টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৯ রানেই দুই ওপেনার হারায় তারা। এরপর আরিফুল ইসলামের সঙ্গে হাল ধরেন বিপিএলে দারুণ ঝলক দেখানো মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৫১ রানের জুটি গড়ে ইফতির বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন অঙ্কন।
তবে এক প্রান্তে হাল ধরে লড়াই চালিয়ে যান আরিফুল। খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন কোনো সহায়তাই পাননি আর। ৭৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ইনিংস শেষ হয় আজিজুল হাকিম তামিমের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে।
অঙ্কনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ৭ রানে বোল্ড হয়ে যান ইফতির বলে। এরপর মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিন টিকতে পেরেছেন ৭ বল। করেছেন ৪ রান। আরেক অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ১৪ বলে ১০ রান করেন শিকার হন মোহাম্মদ ইলিয়াসের। তাতে লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। তবে লেজের ব্যাটাররাও সমর্থন দিতে না পারলে দুইশর আগেই গুটিয়ে যায় মোহামেডান।
গুলশানের হয়ে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বল হাতেও নজর কাড়েন ইফতি। ৩২ রানের খরচায় নেন ৩টি উইকেট। দুটি করে শিকার ধরেন আজিজুল ও ইলিয়াস।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইফতির ব্যাটে বিশাল পুঁজি পায় গুলশান। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন এই তরুণ। বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার ১১০ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ১০৮ রান। পাশাপাশি রান পেয়েছেন দলটির ওপেনার জাওয়াদ আবরার (৮৬ বলে ৭৫) ও হাবিবুর শেখ মুন্না (৫৩ বলে ৪৭)। মুন্না দেশের স্বীকৃত পর্যায়ের ক্রিকেটের নতুন নাম। এর আগে এই তরুণ প্রিমিয়ার লিগ তো দূরের কথা খেলেননি প্রথম বিভাগ।
এদিকে, আগের দিন লিটন দাশকে গুলশান দলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম। কিন্তু এদিন একাদশে ছিলেন না তিনি। তাকে ছাড়া খেলতে নেমে খুব একটা সমস্যা হয়নি তাদের। আবু হায়দার রনি, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ইবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাইজুল ইসলামদের মতন প্রথম সারির বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেন গুলশানের তরুণ ক্রিকেটাররা।
Comments