মনির জায়গায় টেকনিক্যাল কমিটির নতুন আহ্বায়ক ফাহিম

তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি কমানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে এনামুল হক মনি পদত্যাগ করেছেন। তার শূন্যস্থান পূরণে বেছে নেওয়া হয়েছে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে।
বুধবার বিকালে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ফাহিমকে টেকনিক্যাল কমিটির নতুন আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়ার কথা গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
তিনি বলেছেন, 'নতুন করে সিসিডিএম নাজমুল আবেদিন ফাহিমকে টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত করেছে। তিনিই এই মুহূর্তে কমিটির কাজগুলোকে এগিয়ে নিযে যাবেন।'
মিঠু যোগ করেছেন, 'যে কোনো কিছু এখন থেকে টেকনিক্যাল কমিটির কাছে পাঠানো হবে। আর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার আগে সবকিছু ও সমস্ত ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখবে।'
গত ১২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করেন মোহামেডানের অধিনায়ক হৃদয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি তার নামের পাশে যুক্ত হয় চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
সেদিন ম্যাচের পর গণমাধ্যমের সামনে এসে আম্পায়ারদেরও সমালোচনা করেন হৃদয়। তাই পরদিন তার শাস্তি বাড়িয়ে আরও এক ম্যাচ অর্থাৎ মোট দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করার কথা জানানো হয়। সেই সঙ্গে করা হয় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা।
নিষেধাজ্ঞার ফলে ডিপিএলের সুপার লিগে প্রথম দুটি ম্যাচে বাইরে থাকতে হতো হৃদয়কে। তবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে না খেললেও গত রোববার অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নেমে মোহামেডানকে নেতৃত্বও দেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটার হৃদয় কীভাবে সেই ম্যাচ খেলেন তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। তারপর বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। শাস্তি কমানোর এখতিয়ার কেবল সিসিডিএমের টেকনিক্যাল কমিটির হলেও তারা সাড়া দেয়নি মোহামেডানের আবেদনে। পরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে সেটা করেছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি।
মনির আহ্বায়কের ভূমিকা থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে অবশ্য স্বার্থের সংঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন মিঠু। বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ও প্রাক্তন আম্পায়ার মনি ম্যাচ রেফারিদের এডুকেটরও। অর্থাৎ এতদিন একইসঙ্গে দুই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, 'টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক মনি আগে থেকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবং এটিকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। এই শূন্যতার মধ্যেই পুরো পরিস্থিতি (হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা কমানোর ঘটনা) ঘটেছে।'
Comments