‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার,’ তামিমের সঙ্গে একমত তাইজুল নিজেও

হতাশায় ডুবতে থাকা বাংলাদেশকে শেষ বিকালে টেনে তুললেন তাইজুল ইসলাম। তিনি ৫ উইকেট নেওয়ায় হাসি ফিরল টাইগারদের ডেরায়। চট্টগ্রামে তিনি যখন জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে উল্লাসে ভাসছেন, তখন তার প্রশংসা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিম ইকবাল দিলেন পোস্ট। সেখানে এই বাঁহাতি স্পিনারকে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার হিসেবে উল্লেখ করলেন তিনি। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উঠলে তামিমের সঙ্গে একমত হওয়ার কথা জানালেন তাইজুল নিজেও।
সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত এগিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষবেলায় তাইজুলের ঘূর্ণিতে পা হড়কে যায় তাদের। ভালো সংগ্রহের আশা ভুলে সফরকারীরা এখন আড়াইশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়। ৯০ ওভারে প্রথম ইনিংসে তাদের রান ৯ উইকেটে ২২৭।
প্রথম সেশনে বেন কারানকে আউট করা তাইজুল তৃতীয় সেশনে নেন জ্বলে ওঠেন চমৎকার বোলিংয়ে। তার তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৪ উইকেটে ২০০ রান থেকে অল্প সময়ের মধ্যে ৯ উইকেটে ২১৭ রানে পরিণত হয় দলটির স্কোর। অর্থাৎ মাত্র ১৭ রান যোগ করতে তারা হারায় ৫ উইকেট। একে একে ওয়েসলি মাধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা ও নিক ওয়েলচকে সাজঘরে পাঠান তাইজুল। সব মিলিয়ে ২৭ ওভারে ছয়টি মেডেনসহ ৬০ রানে তার শিকার ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১৬তম ৫ উইকেট শিকারের নজির।
তাইজুলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে নিজের স্বীকৃত পেজে তামিম লিখেছেন, তাইজুলকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না, '(তাইজুল) এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার। বর্তমানে খেলতে থাকা বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, আমার মন্তব্য বুঝতে পারবেন। আরেকটি ৫ উইকেটের জন্য তাইজুলকে অভিনন্দন।'
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের এমন মন্তব্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুলের কাছে প্রশ্ন যায়, 'তামিম স্ট্যাটাস দিয়েছেন, আপনি দুনিয়ার সবচেয়ে আন্ডাররেটেড, এটা আপনার নিজেরও মনে হয় কিনা? জবাবে তামিমের সঙ্গে সুর মেলান ৩৩ বছর বয়সী এই বোলার, 'হ্যাঁ, আমার কাছেও মনে হয় আমি আন্ডাররেটেড। কারণটা আপনারাও ভালো জানেন আমার চেয়ে।'
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক হয় তাইজুলের। বাংলাদেশের জার্সিতে ২০ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টি খেললেও তাকে মূলত সাদা পোশাকের ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করা হয়। চলতি ম্যাচসহ ৫৩ টেস্টে ৩১.৫৬ গড়ে তার শিকার ২২৪ উইকেট। এই সংস্করণে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসান ৭১ টেস্টে ৩১.৭২ গড়ে নিয়েছেন ২৪৬ উইকেট। তিনে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনিও খেলতে নেমেছেন ক্যারিয়ারের ৫৩তম টেস্টে। ৩২.৬৪ গড়ে তিনি পেয়েছেন ২০০ উইকেট।
Comments