দক্ষিণ আফ্রিকার পরের সিরিজেই খেলতে পারছেন না বাভুমা

ছবি: আইসিসি

দক্ষিণ আফ্রিকার ২৭ বছরের দীর্ঘ শিরোপাখরা কেটেছে টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে। গত সপ্তাহে লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে তারা। তবে ঠিক পরের সিরিজেই চোটের কারণে অধিনায়ককে পাচ্ছে না প্রোটিয়ারা। তার অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলনেতার ভূমিকায় থাকবেন কেশব মহারাজ।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাভুমার মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। অভিজ্ঞ ডানহাতি ব্যাটার বাভুমা ভুগছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে। তার চোটের অবস্থা বুঝতে আবার স্ক্যান করানো হবে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের তৃতীয় দিনে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান বাভুমা। তখন তিনি ৬ রানে ব্যাট করছিলেন। তবে দমে না গিয়ে উল্টো দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য পাওয়া প্রোটিয়াদের পক্ষে তৃতীয় উইকেটে সেঞ্চুরিয়ান এইডেন মার্করামের সঙ্গে ১৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। ১৩৪ বল মোকাবিলায় ৫ চারে তিনি খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস।

চতুর্থ দিনে বাভুমা আউট হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের একদম কাছে নিয়ে থামেন ম্যাচসেরা মার্করাম। বাকি দায়িত্বটুকু সারেন কাইল ভেরেইন ও ডেভিড বেডিংহ্যাম। ফলে ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপে (এখনকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি 'চোকার্স' অপবাদ ঘুচিয়ে আবার পায় বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ।

জিম্বাবুয়ের মাটিতে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য চলতি মাসের শুরুতে ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল সিএসএ। অধিনায়ক বাভুমা ছিটকে গেলেও তার কোনো বদলি নেওয়া হয়নি। ফলে স্কোয়াড এখন ১৫ জনের।

মার্করাম, মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন ও ট্রিস্টান স্টাবসের মতো নিয়মিত ক্রিকেটাররাও থাকছেন না এই সিরিজে। তাদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। স্কোয়াডে আছেন টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পাঁচজন। তারা হলেন লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, লেসেগো সেনোকোয়ানে, কোডি ইউসুফ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস ও প্রেনেলান সুব্রায়েন।

আগামী ২৮ জুন শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ৬ জুলাই থেকে মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় ম্যাচ। দুটি খেলারই ভেন্যু বুলাওয়ায়ো। সিরিজটি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

5h ago