কোয়াবের নির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর

ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচন আগামী ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠনটি তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের নাম ঘোষণা করেছে। যেখানে বিসিবি পরিচালক ইফতিখার রহমান মিঠু। সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ও সাবেক উইকেটকিপার নাসির আহমেদ নাসু।
প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনটিকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনর্গঠিত করার লক্ষ্যে সোমবার শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই ঘোষণা আসে। কোয়াবের অ্যাড-হক কমিটির সদস্য সেলিম শাহেদ বলেন, 'আমরা কোয়াবের একটি বৈঠক করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে নির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সদস্যপদ তালিকাভুক্তি থেকে শুরু করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার মতো পুরো প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের সব কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।'
স্থায়ী অফিস এবং স্বাধীনতার নিশ্চয়তা
সেলিম শাহেদ জানান কোয়াবের এখন শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে একটি স্থায়ী কার্যালয় রয়েছে, যা বহুদিনের একটি দাবি ছিল। তিনি পরিষ্কার করে বলেন যে, এই জায়গাটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বরাদ্দ করেছে, সরাসরি বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) দ্বারা নয়। এই নতুন কার্যালয়টি কোয়াবের সকল কার্যক্রম এবং নিবন্ধনের জন্য স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে কাজ করবে।
সাবেক এই ক্রিকেটার জানান, 'কোয়াব কোনো ট্রেড ইউনিয়ন নয়, এটি ক্রিকেটারদের একটি কল্যাণমূলক সংগঠন। এটি স্বাধীনভাবে কাজ করবে।'
কারা ভোট দিতে পারবেন?
কোয়াবের সর্বশেষ এজিএমে সাবেক ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিলো। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে তারা সরে এসেছে। সেলিম নিশ্চিত করেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)-এর অধীনে নিবন্ধিত সকল খেলোয়াড় ভোটাধিকারসহ আজীবন সদস্য হতে পারবেন। এছাড়াও, বর্তমান ও সাবেক জাতীয় এবং প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা, যারা কোয়াবের স্থায়ী সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত, তারাও ভোট দিতে পারবেন। তবে, কোয়াবের কোনো সদস্য যদি বিসিবি-তে কোনো পদে থাকেন, তাহলে স্বার্থের সংঘাত এড়াতে তিনি ভোট দেওয়ার অযোগ্য হবেন।
সেলিম বলেন, 'বিসিবির পরিচালক বা কর্মচারীরা ভোট দিতে পারবেন না। যদি কোনো কোয়াব সদস্য পরে বিসিবি-তে যোগ দেন, তবে তাকে দুটি ভূমিকার যেকোনো একটি থেকে পদত্যাগ করতে হবে।'
এই ধারাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতীতে এ ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। বিশেষ করে যখন নাইমুর রহমান দুর্জয় একইসঙ্গে কোয়াবের সভাপতি এবং বিসিবি-এর পরিচালক পদে ছিলেন।
Comments