জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ৩৫৯ রানে হারাল নিউজিল্যান্ড, টেস্টে এর চেয়ে বড় জয় কতটি?

ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

বুলাওয়ায়োতে প্রথম টেস্টে কোনোমতে ইনিংস হার এড়িয়েছিল জিম্বাবুয়ে। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্টে রীতিমতো বিধ্বস্ত হলো স্বাগতিকরা। ইনিংস ও ৩৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড।

অসম লড়াইয়ে আড়াই দিনও টেকেনি এই টেস্ট। প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১২৫ রানে। এরপর দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬০১ রান। ডেভন কনওয়ের পর সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত ছিলেন হেনরি নিকোলস ও রাচিন রবীন্দ্র।

শনিবার তৃতীয় দিনের সকালে আর ব্যাটিংয়ে নামেনি সফরকারীরা। ফের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ে লাঞ্চ বিরতির আগে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় স্রেফ ১১৭ রানে। অর্থাৎ এক সেশনও টিকতে পারেনি তারা।

টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এটি। তাদের আগের রেকর্ডটিও ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১২ সালে ঘরের মাঠে নেপিয়ারে ইনিংস ও ৩০১ রানে জিতেছিল কিউইরা। ফলে নিজেদের ইতিহাসে জিম্বাবুয়ে পেয়েছে সবচেয়ে বড় ইনিংস হারের তেতো স্বাদ।

টেস্ট ক্রিকেটের সুদীর্ঘ প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে ইনিংস ব্যবধানে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর মাত্র দুটি। ২০০২ সালে জোহানেসবার্গে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ৩৬০ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি টিকে আছে ৮৭ বছর ধরে। ১৯৩৮ সালে ঘরের মাঠে ওভালে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড।

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন না হলেও আলগা শটে বিপদ ডেকে আনেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। নিক ওয়েলচ তিনে নেমে ৭১ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই অঙ্কের ঘরে যান আর কেবল অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তিনি করেন ৩১ বলে ১৭ রান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

অভিষিক্ত পেসার জাকারি ফোকস ৩৭ রানে নেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে তার শিকার ৭৫ রানে ৯ উইকেট। টেস্ট অভিষেকে নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারের সেরা পারফরম্যান্স এটি। সাদা পোশাকে প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেট আছে আর কেবল উইল ও'রোর্কের। ২০১৪ সালে নিজেদের ডেরায় হ্যামিল্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি খরচ করেছিলেন ৯৩ রান।

২৪৫ বলে ১৫৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাঁহাতি কিউই ওপেনার কনওয়ে। দুই টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন তার সতীর্থ পেসার ম্যাট হেনরি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

2h ago