কোয়াবের নির্বাচনে স্রেফ ‘অটো পাস’ তকমা সরাতেই দাঁড়িয়েছেন সেলিম শাহেদ!

ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নির্বাচনের পদ সংখ্যা ১১টি। এরমধ্যে ১০ পদেই একক প্রার্থী থাকায় হচ্ছে না ভোট। কেবল সভাপতির পদের লড়াই বাঁচিয়ে রেখেছে নির্বাচন। তবে সভাপতি পদেও নির্বাচন হতো না, সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এই পদে দাঁড়িয়েছেন এই নির্বাচন থেকে স্রেফ অটো পাস তকমা সরাতে।
আজ বিসিবি প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায় হবে নির্বাচন। যাতে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং জাতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুনের মধ্যে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হবেন। সেলিম শাহেদ এই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন, কারণ তিনি এটিকে 'অটো পাস' নির্বাচন বলে মনে করছিলেন এবং তা ঠেকানোর জন্যই তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে সেলিম বলেন, 'মূলত, আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি কারণ আমি দেখেছি ১১টি পদের জন্য মাত্র ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এটা প্রায় একটা অটো পাস সিস্টেমের মতো ছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি এই মনোনয়ন নিয়েছি যাতে নির্বাচনটি আসলে অনুষ্ঠিত হয় এবং সবাই দেখতে পায় যে প্রক্রিয়াটি কীভাবে কাজ করে। আমার জীবনে আমি কখনো কোয়াবে নির্বাচন দেখিনি। আমি চাই এই প্রক্রিয়াটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকুক।'
সেলিম বলেন, 'অটো-সিলেকশন একটি ভালো অনুশীলন নয়। এটি বন্ধ করার জন্যই আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এর বেশি কিছু নয়।'
বোঝাই যাচ্ছে সেলিমের আসলে ভোটে জেতার কোন লক্ষ্য নেই। কেবল নির্বাচনকে একধরণের কালিমামুক্ত করতেই তার প্রচেষ্টা। যার জেতার লক্ষ্য নেই তার আসলে জেতার সম্ভাবনাও সেভাবে থাকে। সেদিক থেকে অনেকটা অনুমিত ছকেই এগুচ্ছে ক্রিকেটারদের সংগঠনের এই নির্বাচন।
এদিকে মিঠুন নির্বাচিত হলে ক্রিকেটারদের কল্যাণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, 'এটি কোনো রাজনৈতিক জায়গা নয়; এখানে কাজ করতে হয়। যদি আমি নির্বাচিত হই, আমি আশা করি ক্রিকেটারদের সর্বোত্তম স্বার্থে কাজ করতে পারব।'
এর আগে, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ (সিনিয়র সহ-সভাপতি), নুরুল হাসান সোহান (সহ-সভাপতি), নাজমুল হোসেন শান্ত, শামসুর রহমান শুভ, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুমানা আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, ইমরুল কায়েস, ইরফান সুক্কুর এবং আকবর আলী (নির্বাহী সদস্য) সবাই নিজ নিজ বিভাগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার আগে অনুষ্ঠিত হবে কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা। বিসিবির একাডেমি ভবনে যা শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট।
এবারই প্রথম বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু এবং সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার নাসির আহমেদ নাসুর নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন সরাসরি এবং অনলাইন উভয় ধরনের ভোটের ব্যবস্থা করেছে। মোট ২১২ জন ভোটার কোয়াবের পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন করবেন।
Comments