নেইমার-মেসি-দোন্নারুমার কল্যাণে পিএসজির কষ্টার্জিত জয়

ব্রেস্ত খুব কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল না পিএসজির জন্য। তবে প্রত্যাশামাফিক দাপট দেখালেও তাদের ক্ষুরধার ফিনিশিংয়ের অভাব ছিল স্পষ্ট।
ছবি: পিএসজি ওয়েবসাইট

ব্রেস্ত খুব কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল না পিএসজির জন্য। তবে প্রত্যাশামাফিক দাপট দেখালেও তাদের ক্ষুরধার ফিনিশিংয়ের অভাব ছিল স্পষ্ট। প্রথমার্ধে লিওনেল মেসির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় নেইমারের লক্ষ্যভেদ ও দ্বিতীয়ার্ধে গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার পেনাল্টি সেভ, দুইয়ে মিলে পূর্ণ পয়েন্ট পেল তারা। কষ্টার্জিত জয়ে ফরাসি লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফিরল ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা।

শনিবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ব্রেস্তকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া গোলটি আসে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের পা থেকে। লিগে সাত ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেঁড়ে হলো ৮। আসরের গোলদাতাদের তালিকায় এককভাবে শীর্ষে আছেন তিনি।

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় প্যারিসিয়ানরা। তবে মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। অবশেষে ৩০তম মিনিটে অপেক্ষার অবসান ঘটান নেইমার। মাঝমাঠের একটু সামনে থেকে আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি উঁচু করে বাড়ান নিখুঁত বল। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বাঁ পায়ের দারুণ ফিনিশিংয়ে জালে বল পাঠান নেইমার।

এর ছয় মিনিট আগে ডি-বক্সের সামনে ফাউলের শিকার হন নেইমার। তখন ব্রেস্তের ডিফেন্ডার ক্রিস্তফ এরেলকে লাল কারদ দেখান রেফারি। তবে ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। কারণ, নেইমার আক্রমণের শুরুতে ছিলেন অফসাইডে।

৪৩তম মিনিটে আরেকটু হলেই দলকে বিপদে ফেলেছিলেন সফরকারীদের ডিফেন্ডাররা। নিজেদের ভুলে নেইমারের পায়ে বল তুলে দেন তারা। তিনি খুঁজে নেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসিকে। তবে মার্কো বিজতকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের কোণাকুণি শটও ফিরিয়ে দেন ব্রেস্তের গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আরও একবার গোলবঞ্চিত হন মেসি। বাঁ দিক থেকে এমবাপের ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড করেন তিনি। কিন্তু বিধি বাম। বাধা হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। ৫৯তম ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু বাজেভাবে বাইরে শট নিয়ে তা নষ্ট করেন ম্যাচে নিজের ছায়া হয়ে থাকা এমবাপে।

আক্রমণের ঝাপটা সামলাতে ব্যস্ত থাকা ব্রেস্ত ৭০তম মিনিটে ম্যাচে ফেরার মোক্ষম সুযোগ পায়। ফরাসি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে নিজেদের ডি-বক্সে ফাউল করে বসেন নোয়াহ ফাদিহাকে। ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে দারুণ দক্ষতায় ইতালিয়ান গোলরক্ষক দোন্নারুমা বাঁ দিকে ঝাপিয়ে ঠেকান ইসলাম স্লিমানির শট। তাতে বেঁচে যায় পিএসজি।

৭৯তম মিনিটে ফের বিপদ ডেকে আনতে গিয়েছিলেন কিম্পেম্বে। ছয় গজের বক্সে প্রতিপক্ষের একটি ক্রস বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন তিনি। বল পেয়ে যান স্লিমানি। কাছের পোস্টে তার শট অসাধারণভাবে রুখে দেন দোন্নারুমা। খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে বদলি ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

সাত ম্যাচে ছয় জয় ও এক ড্রয়ে লিগের এক নম্বরে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ১৯। সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লেঁস নেমে গেছে দুইয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে থাকা অলিম্পিক মার্সেইয়ের পয়েন্ট ১৬। সাত ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছে ব্রেস্ত। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যাকাবি হাইফার মাঠে খেলতে নামবে পিএসজি।

Comments