মেসি-এমবাপে-নেইমারের গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল পিএসজি

ছবি: টুইটার

প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে পিছিয়ে পড়ল পিএসজি। ধাক্কা সামলে এরপর জ্বলে উঠলেন তাদের আক্রমণভাগের তিন তারকা। লিওনেল মেসি দলকে সমতায় ফেরালেন। নেইমার পাইয়ে দিলেন লিড। দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে ব্যবধান বাড়ালেন কিলিয়ান এমবাপে। ঘুরে দাঁড়িয়ে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা।

মঙ্গলবার রাতে পিছিয়ে পড়েও ইসরাইলের ক্লাব ম্যাকাবি হাইফার মাঠে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীরা। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'এইচ' গ্রুপে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়। আগের ম্যাচে জুভেন্তাসকে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা।

দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে প্যারিসিয়ানরা। আরেক ম্যাচে জুভেন্তাসকে তাদের মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে দেওয়া বেনফিকার পয়েন্টও ৬। তারা রয়েছে দুইয়ে। তিনে থাকা জুভরা এখনও পয়েন্টের স্বাদ পায়নি। একই হাল গোল পার্থক্যে গ্রুপের তলানিতে থাকা হাইফারও।

হাইফার বিপরীতে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছিল পিএসজি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে দুই দলের মধ্যে হয় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে তারকায় ঠাসা সফরকারীরা শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে জয়ের চওড়া হাসি নিয়ে। ৫৬ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে গোলমুখে তাদের নেওয়া ১৬টি শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, স্বাগতিকরা ১৩টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি।

ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে হাইফা। একাদশ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া আবু ফানির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান পিএসজির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা। চার মিনিট পর আরেকটি দুর্দান্ত সেভে ফ্রানৎজি পিরতকেও হতাশ করেন তিনি।

২৪তম মিনিটে অবশ্য জাল আর অক্ষত রাখতে পারেননি ইতালিয়ান তারকা দোন্নারুমা। দোলেভ হাজিজিয়ার ক্রসে অসাধারণ ভলিতে হাইফাকে এগিয়ে দেন জারন শেরি। নয় মিনিট পর ফের বল ঢোকে পিএসজির জালে। কিন্তু পিরতের গোল বাতিল হয় অফসাইডের কারণে।

আক্রমণে উঠে বারবার খেই হারানো পিএসজি ৩৭তম মিনিটে ফেরে সমতায়। বাম প্রান্তে ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপেকে খুঁজে নেন মেসি। তিনি বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে করেন নিচু ক্রস। বল প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে পৌঁছে যায় আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসির কাছে। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান তিনি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত পিএসজি। মেসির কর্নারে মার্কুইনোসের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে শেরির দূরপাল্লার বুলেট গতির শট রুখে ফের দলকে বাঁচান দোন্নারুমা।

বিরতির পর খেলা চালুর সপ্তম মিনিটে পিরতের ভলি লক্ষ্যে থাকেনি। ছয় মিনিট পর ফানির প্রচেষ্টাও খুঁজে পায়নি নিশানা। ৬৩তম মিনিটে মেসির শট পরাস্ত করতে পারেনি হাইফার গোলরক্ষক জস কোহেনকে। পরের মিনিটে ফের গোলবঞ্চিত হয় পিএসজি। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী মেসির শট কোহেন পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। বল যাচ্ছিল জালের দিকেই। শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে তা ফিরিয়ে দেন শন গোল্ডবার্গ।

অবশেষে ৬৯তম মিনিটে আসে পিএসজির সাফল্য। রক্ষণ এলোমেলো করে দেওয়া পাসে এমবাপেকে খুঁজে নেন মেসি। প্রথম ছোঁয়ায় কোহেনকে ফাঁকি দেন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। ৮৮তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গোল করলে নিশ্চিত হয় পিএসজির জয়।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago