লাইপজিগ বাধা পেরিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল রিয়াল
ম্যাচের লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও জালের ঠিকানার খোঁজ মিলছিল না। মাঝমাঠের পাশাপাশি আক্রমণভাগেও ধুঁকতে হচ্ছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। অবশেষে ফেদে ভালভার্দে দলটিকে দিলেন আলোর দিশা। সেই উল্লাসের রথে চড়ে যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করলেন মার্কো আসেনসিও। কষ্টের জয়ে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা বজায় রাখল নিরেট সাফল্যের ধারা।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আরবি লাইপজিগকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। আসরে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত আট ম্যাচ খেলে সবকটিতে জিতেছে স্প্যানিশ পরাশক্তিরা।
দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে 'এফ' গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে রিয়াল। কোনো পয়েন্ট না পাওয়া জার্মান ক্লাব লাইপজিগের অবস্থান তলানিতে। আরেক ম্যাচে শাখতার দোনেৎস্ক নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে সেলটিকের সঙ্গে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ইউক্রেনের দল শাখতার। তিনে থাকা স্কটিশ ক্লাব সেলটিকের পয়েন্ট ১।
বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকা রিয়াল গোলমুখে ১২টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে তিনটি। অন্যদিকে, লাইপজিগও তিনটি শট লক্ষ্যে রাখে নয়টির মধ্যে। স্বাগতিকদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া তিনটি সেভ করে রাখেন দারুণ ভূমিকা।
প্রতিপক্ষের ডেরায় লাইপজিগের শুরুটা ছিল বেশ উজ্জ্বল। পঞ্চম মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুনুর শট ঠেকান কোর্তোয়া। ছয় মিনিট পর পেনাল্টির আবেদন উঠেছিল। রিয়ালের ডি-বক্সের ভেতর নাচো ফার্নান্দেজের চ্যালেঞ্জে পড়ে গিয়েছিলেন এনকুনু। তবে রেফারি সাড়া দেননি।
বিরতির আগ পর্যন্ত দুই দল পরস্পরের রক্ষণে ছড়ায় ভীতি। ১৫তম মিনিটে রদ্রিগোর শট লক্ষ্যে থাকনি। ছয় মিনিট পর এমিল ফোর্সবার্গের প্রচেষ্টাও যায় বাইরে। পাঁচ মিনিট পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৪তম মিনিটে টিমো ভার্নারের ক্রসে অল্পের জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি এনকুনু। সাত মিনিট পর লুকা মদ্রিচের শট চলে যায় পোস্তের কাছ দিয়ে।
বিরতির পর আক্রমণের ধার কমে যায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের। অনেকটা সময় ঢিলেঢালা ঢঙে চলার পর ফের উত্তেজনা ছড়ায় ৭২তম মিনিটে। খুব কাছ থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্বল শট লাইপজিগের গোলরক্ষক পিটার গুলাৎসি আটকে দেন। পরে আলগা বল উড়িয়ে মারেন আসেনসিও।
অবশেষে ৮০তম মিনিটে ভালভার্দের গোলে ভাঙে অচলাবস্থা। ভিনিসিয়ুসের পাসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে বাঁকানো শটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার। শেষ বাঁশি বাজার কিছু সময় আগে জোরালো শটে ব্যবধান বাড়ান স্প্যানিশ উইঙ্গার আসেনসিও। তাকে বলের যোগান দিয়েছিলেন বদলি নামা টনি ক্রুস।
Comments