পিছিয়ে পড়েও স্টোনস-হালান্ডের লক্ষ্যভেদে ম্যান সিটির জয়

ছবি: টুইটার

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে হজম করা গোলে হারের পথে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। তবে প্রথমার্ধের সাদামাটা পারফরম্যান্স পেছনে ঠেলে শেষদিকে অদম্য হয়ে উঠল তারা। চার মিনিটের ব্যবধানে দুবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাল দলটি। পিছিয়ে পড়েও জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে দিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'জি' গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ম্যান সিটি। আসরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের এটি টানা দ্বিতীয় জয়। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া ডর্টমুন্ডের অবস্থান দুইয়ে।

সফরকারীদের এগিয়ে দেন তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। এরপর তার স্বদেশি ডিফেন্ডার স্টোনসের গোলে ঘুরে দাঁড়ায় সিটিজেনরা। আর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে অ্যাক্রোব্যাটিক কায়দায় নিশানা ভেদ করে গড়ে দেন পার্থক্য।

৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা সিটি গোলমুখে ১২টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে তিনটি। বিপরীতে, জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব ডর্টমুন্ডের পাঁচটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে। প্রথমার্ধে দুই দলের আক্রমণে ছিল ধারের যথেষ্ট অভাব। ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। তবে বিরতির পর পাল্টে যায় চিত্র। ম্যাচের সবগুলো গোলেরই দেখা মেলে দ্বিতীয়ার্ধে।

৫৬তম মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইনে প্রথমবারের মতো আসে বদল। মার্কো রয়িস ও বেলিংহ্যামের বোঝাপড়ায় এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। সতীর্থের কর্নারের পর বল পেয়ে যান রয়িস। তার ক্রসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে হেড করে বল জালে জড়ান বেলিংহ্যাম।

সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠা ম্যান সিটি শঙ্কা উড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ৮০তম মিনিটে। কেভিন ডি ব্রুইনা ডি-বক্সের প্রান্তে খুঁজে নেন স্টোনসকে। তিনি কাছের পোস্ট দিয়ে ভেদ করেন নিশানা। ডর্টমুন্ডের গোলরক্ষক অ্যালেকজান্ডার মেয়ার যেন বুঝতেই পারেননি! বল ঠেকানোর কোনো চেষ্টা ছিল না তারা।

৮৪তম মিনিটে হালান্ডের চোখ ধাঁধানো গোলে সিটির জয় নিশ্চিত হয়। জোয়াও কানসেলো ক্রস করেন দূরের পোস্টের দিকে। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে লাফিয়ে উঠে বাঁ পায়ের ভলিতে মেয়ারকে বোকা বানান হালান্ড। এবারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে নয় ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেঁড়ে হলো ১৩টি। এই লিড ধরে রেখে শেষ হাসি হাসে ম্যান সিটি।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago