সম্পদ বিক্রি নিয়ে বার্সাকে সতর্ক করলেন খেলাইফি

দেনার পরিমাণ বিলিয়ন ইউরোরও বেশি। যে কারণে নতুন খেলোয়াড় কিনা অসম্ভব ছিল বার্সেলোনার জন্য। পরে নানা দাগে ক্লাবের কিছু সম্পদ বিক্রি করে নতুন স্বাক্ষরের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে ক্লাবটি। দারুণ সব খেলোয়াড়ও টানে। তাতে মাঠের পারফরম্যান্স গিয়েছে বদলে। তবে এ সকল বিষয় ভালো লাগছে না পিএসজি মালিক নাসের আল খেলাইফির। বার্সেলোনাকে বর্তমান নয়, ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে বলেন তিনি।

সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে সাধারণ সমাবেশের আয়োজন করে ইউরোপীয় ক্লাব অ্যাসোসিয়েশন। অংশ নেন এ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পিএসজি প্রেসিডেন্ট নাসের আল খেলাইফিও। সেখানেই তার বক্তব্যের মূল অংশ জুড়ে ছিলেন আর্থিক ফেয়ার প্লে পুনঃপ্রবর্তন নিয়ে। তার এক পর্যায়ে বার্সেলোনাকে সতর্ক করেন পিএসজির কর্ণধার। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর রিয়াল মাদ্রিদের উদযাপনও ভালো লাগেনি বলে জানান তিনি।

বার্সাকে খোঁচা মেরে খেলাইফি বলেন, 'আর্থিক কাঠামোর নতুন নিয়ম একটি ইতিবাচক উন্নয়ন। নিয়মগুলো খরচ এবং ব্যয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বিনিয়োগ এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের উত্সাহিত করে। তারা ভবিষ্যতে ফুটবল টিকে থাকার ব্যাপার নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। তবে আমাদের ঋণের মাত্রার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে কারণ যাদুকরী উপায়ে পুঁজি বিনিয়োগ করা একটি টেকসই উপায় নয়। আমাদের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করতে হবে, স্বল্পমেয়াদী নয়।'

বার্সেলোনার তরফ থেকে কোনো জবাব না দিলেও এর উপযুক্ত জবাব দিয়ে দিয়েছে লা লিগা প্রধান হ্যাভিয়ের তেবাস, 'এখানে কোনো জাদু নেই। বার্সেলোনা তাদের সম্পদের কিছু অংশ বিক্রি করেছে তাদের লোকসান মেটাতে। অন্যদিকে পিএসজিতে আপনারা 'গ্যাস চালু করেছেন'। একটি টেকসই ফুটবল বিশ্বের জন্য, প্রথম জিনিসটি হলো যা পাওনা আছে তা পরিশোধ করা। তাই না?'

খেলোয়াড় কেনার জন্য প্রথমে নিজেদের ঘরোয়া টিভিস্বত্বের ১০ শতাংশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিক্সথ স্ট্রিটের কাছে বিক্রি করে বার্সেলোনা। গত জুলাইয়ে সিক্সথ স্ট্রিটের কাছে টিভিস্বত্বের আরও ১৫ শতাংশ বিক্রি করে তারা। বিক্রি করে বার্সার স্টুডিওর ২৪.৫ শতাংশও। মূলত এ সব খাত থেকেই অর্থ পায় ক্লাবটি। যা খরচ করে দারুণ খেলোয়াড় এনে এবার লিগে ভালো অবস্থানে রয়েছে তারা।

সম্পদ বিক্রি করে নতুন স্বাক্ষর করানোয় মাঠের ফলাফলের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিকভাবেপ লাভের মুখ দেখেছে বার্সেলোনা। ২০২১-২২ মৌসুমে ৯ কোটি ৮০ লাখ ইউরো লাভ করে ক্লাবটি। এই মৌসুমে লাভের অঙ্কটা আরও বেশি হওয়ার আশা করছে তারা। যা হতে পারে প্রায় ২৭ কোটি ১০ লাখ ইউরো। অথচ ২০২০-২১ মৌসুমে ৪০ কোটি ইউরো লোকসান গুনেছিল কাতালানরা।

Comments

The Daily Star  | English

Mango Moment: A sweet deal for Bangladesh

Bangladesh's delicious mangoes: untapped economic potential, requiring a national strategy

14h ago