মেসি ও বদলি এমবাপের গোলে শীর্ষে ফিরল পিএসজি
লিওনেল মেসির গোলে পিছিয়ে পড়েও দমে না গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল নিস। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তারা ফিরল সমতায়। তবে কিলিয়ান এমবাপে মাঠে নামার পর গতি এলো পিএসজির আক্রমণে। শেষদিকে তার জয়সূচক গোলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ল ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীরা।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা। তাদের দুই গোলদাতা আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি ও ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপে। নিসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন গাইতান লাবোর্দ।
লিগে প্যারিসিয়ানদের এটি টানা পঞ্চম জয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সপ্তম। মার্সেইকে টপকে আসরের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে ফিরেছে ক্লাবটি। নয় ম্যাচে আট জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ২৫। সমান ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট পাওয়া মার্সেই নেমে গেছে দুইয়ে। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে অবস্থান নিসের।
নিসের উজ্জ্বল শুরুর বিপরীতে পিএসজি এগোতে থাকে বেশ ধীরেসুস্থে। দ্বাদশ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় তারা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের শট অবশ্য থাকেনি লক্ষ্যে। গোলপোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল।
২৮তম মিনিটে আরেকটি ফ্রি-কিক থেকেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে বিপজ্জনক জায়গায় ফাউলের শিকার হওয়ার পর নিজেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন মেসি। তার বাঁ পায়ের বাঁকানো নিখুঁত শট জড়ায় জালে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মেইকেলের তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
নয় মিনিট পর ফের ফ্রি-কিক থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত পিএসজির। মেসি বলের উপর দিয়ে দৌড়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করেন। এরপর নেইমার নেন শট। তার বাঁকানো সেট-পিস ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে হতাশায় পুড়তে হয় মেসিকে। হুয়ান বার্নাতের কাট-ব্যাক ডি-বক্সের ভেতর খুঁজে পায় তাকে। প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শট করেন তিনি। স্মেইকেলের দুর্দান্ত সেভে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে নিস।
বিরতির পর খেলা শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করে পিএসজি। বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণ এক ক্রস করেন ইউসেফ আতাল। সেটা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় গালতিয়ের দল। সোফিয়ানে দিওপ মাথা ছোঁয়াতে না পারলেও বল পেয়ে যান লাবোর্দ। তার শটে পরাস্ত হন ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা।
চার মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নষ্ট হয় নিসের। আতাল আরেকটি ক্রসে খুঁজে নেন মেলভিন বার্দকে। জায়গা করে নিয়ে ভলি মারেন তিনি। কিন্তু বল লক্ষ্যের ধারেকাছেও থাকেনি।
৫৯তম মিনিটে হুগো একিতিকের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এমবাপে। এরপর থেকে ম্যাচে একক প্রাধান্য শুরু হয় পিএসজির। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ৮৩তম মিনিটে ভাঙে অচলাবস্থা। স্মেইকেলের দুর্বল কিকের পর নর্দি মুকিয়েলের কাট-ব্যাকে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।
চলতি মৌসুমে পিএসজির আক্রমণভাগের তিন তারকা রয়েছেন দুর্বার ছন্দে। নেইমার করেছেন ৮ গোল। এই ম্যাচে নিশানা ভেদ করে তাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন এমবাপে। দুজনই আছেন লিগের গোলদাতাদের তালিকার চূড়ায়। গত মৌসুমে গোলমুখে ভোগা মেসির নামের পাশে রয়েছে ৫ গোল।
Comments