ভিএআর ফুটবলের রোমাঞ্চ নষ্ট করে দিয়েছে: অঁরি

উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচের শেষ মুহূর্তে নাটকীয় এক গোল। স্বাভাবিকভাবেই বাঁধভাঙা উদযাপন করে থাকেন খেলোয়াড়রা। অনেকে তো জার্সি খুলে একটি হলুদ কার্ড খাওয়াকেও কিছু মনে করেন না। কিন্তু একটি পরেই যদি জানা যায় ভিএআর বিবেচনায় বাতিল হয়েছে গোলটি, তখন যেন সব রোমাঞ্চ হারায় ম্যাচটির। এ বিষয়টিই তুলে ধরেছেন ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরি।

রেফারিদের সিদ্ধান্তকে আরও নিখুঁত করতে গত কয়েক বছর থেকেই ফুটবল বিশ্বে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ভিডিও অ্যাসিসটেন্ট রেফারি (ভিএআর)। তবে এ নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই। ফুটবলের রোমাঞ্চ নষ্ট তো হয়ই, একই সঙ্গে ভিএআরে যাচাইয়ের পর থামছে না বিতর্ক। প্রাক্তন আর্সেনাল কিংবদন্তির কাছেও অনেক ভক্তরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। ভিএআরের প্রবর্তনের আগে ফুটবলের আবেগটাই অন্যরকম ছিল বলে দাবি তার।

বর্তমান সময়ের কাঠখোট্টা ফুটবলের আগে অবসর নিতে পাড়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন অঁরি, 'এটা একটা ভালো ব্যাপার যে আমি অবসর নিয়ে নিয়েছি। নতুন প্রযুক্তি নিয়ে তাদের ডিল করতে দিন। কিন্তু এতো কিছুর পরও এটা কোথায় যায়? একটা জিনিস বোঝা আমার জন্য খুব কঠিন। আমি একজন খেলোয়াড় হিসাবে গোল করতাম তখন উদযাপন করতাম। এখন মাঝে মাঝে গোলের পর আপনি জানেন না যে আপনার লাফ দেওয়ার দরকার আছে কি-না? উদযাপন করা ঠিক কি-না?'

ফুটবলের আবেগ ফিরিয়ে আনার জন্য সঠিক কোনো সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন এ কিংবদন্তি, 'আমরা এখন জানি না আমাদের উদযাপন করা ঠিক কি-না? এটি খেলার আনন্দকে কিছুটা হলেও হত্যা করে। সুতরাং, আমাদের এমন একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আমাদের খেলার আনন্দটা হত্যা না হয়। এবং যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সঠিক ফলাফল পেতে পারি।'

বর্তমান সময়ের ভিএআর সিস্টেমেও বিতর্ক থাকছে না বলেও উল্লেখ করেন এ ফরাসি, 'অফসাইড ধরা সহজ যদিও কখনও কখনও এক দুই সেন্টিমিটারের জন্য ধরা হয়। এটা বাস্তব একটি ব্যাপার। যখন এটি একটি পেনাল্টির বিষয়ে মতামতের বিষয় আসে, তখন আপনি কি মনে করেন এটি একটি পেনাল্টি? নাকি আমি মনে করি এটি একটি পেনাল্টি? এটা নিয়ে একটা অন্তহীন বিতর্ক থাকছেই।

Comments

The Daily Star  | English
Shahjalal International Airport Terminal-3

Shahjalal International Airport Terminal-3: Operations face further delay

The launch of Dhaka airport’s third terminal faces a further delay, as the Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) is still negotiating an operation and maintenance agreement -- a prerequisite for starting services -- with a Japanese consortium.

10h ago