ভক্তরা পিকেকে নিয়ে কি ভাবেন গোনায় ধরেন না জাভি

ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন না জেরার্দ পিকে। ৭৮তম মিনিটে যখন মাঠে নামেন ততক্ষণে বার্সার জয় প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু তখন ঘটল বিরল এক ঘটনা। দীর্ঘ ১৪ বছর ব্লগ্রানাদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে কাটিয়ে দেওয়া এ ডিফেন্ডারকে কি-না দুয়ো দিচ্ছিল নিজেদের সমর্থকরা।

এক ক্লাসিকো হারের ধাক্কা সামলে বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। দাপুটে জয় পেলেও যেন তৃপ্ত নন সমর্থকরা। পিকের উপস্থিতিই পছন্দ নয় তাদের। তবে খারাপ সময়ে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার পাশে পেয়েছেন সাবেক সতীর্থ ও বর্তমান কোচ জাভি হার্নান্দেজকে।

৩৫ বছর বয়সী পিকে অনেকদিন ধরেই হারিয়ে খুঁজছেন নিজেকে। গতি কখনোই মূল শক্তি ছিল না তার। ট্যাকলিং ও হেডিং তাকে করে তুলেছিল অনন্য। এখন বয়সের ভারে গতিটা কমে এসেছে আরও, ট্যাকলিংয়েও নেই আগের ধার। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে প্রায়ই করে বসছেন শিশুসুলভ ভুল। সেসবের কড়া মূল্য দিতে হচ্ছে দলকে।

সময়ের সঙ্গে বার্সা সমর্থকরাও হারিয়ে ফেলেছেন ধৈর্য। ন্যু ক্যাম্প জুড়ে এখন কেবল 'পিকে হটাও' রব। গতকাল যখন বদলী হিসেবে পিকেকে নামান জাভি, ক্ষোভে ফুসে ওঠে ভক্তরা। তবে বার্সা বস মনে করছেন এখনও দলকে দেবার অনেকে কিছু আছে এই ডিফেন্ডারের।

জাভি বলেন, 'আমি একতার ডাক দিয়েছিলাম। এটাই এক হওয়ার সময়। সর্বোচ্চ আমি যেটা বলতে পারি সে (পিকে) ড্রেসিং রুমে একজন উদাহরণ। সে দুর্দান্ত একজন অধিনায়কও। মানুষের জানা উচিৎ এগুলো।'

ভক্তদের দুয়ো ও সমালোচনাকে আপাতত আমলে নিচ্ছেন না বলেও জানান জাভি, 'তারা কেন শিস দিচ্ছিল আমি জানি না। আমি এসব নিয়ে ভাবিও না। আমার কাছে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো পিকে আমাদের সাথে ড্রেসিং রুমে আছে ও সে সবসময় দলের জন্য সেরাটাই করে। আমি পিকের কোচ হতে পেরে খুশি।'

২০০৮ সালে পিকে যখন বার্সেলোনায় আসেন জাভি তখন দলটির প্রতিষ্ঠিত সদস্য। ২০১৫ সালে জাভি ক্লাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর একসঙ্গে খেলেছেন তারা। একসঙ্গে এই জুটি কাতালান ক্লাবটিকে এনে দিয়েছেন অনেক সাফল্য। দুজনের বোঝাপড়া যে আজও আগের মতোই আছে তা দুর্দিনে জাভির ঢাল হয়ে দাঁড়ানো দেখেই বোঝা যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Israel launches major attack on Iran

‘Nuclear plant, military sites’ hit; strikes likely killed Iranian chief of staff, top nuclear scientists; state of emergency declared in Israel, fearing Iranian retaliation

46m ago