হালান্ডকে উঠিয়ে নেওয়ার পেছনে তিনটি কারণ জানালেন গার্দিওলা

জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচটিতে আর্লিং হালান্ডকে বিরতির পর আর মাঠে নামাননি দলটির স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা। খেলার পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন, দ্বিতীয়ার্ধে খেলার মতো অবস্থায়ই নাকি ছিলেন না নরওয়েজিয়ান তারকা।

মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের 'জি' গ্রুপের ম্যাচটি শেষ হয়েছে সমতায়। ম্যান সিটির শেষ ষোলোতে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। এই ড্রয়ে ডর্টমুন্ডও পেয়েছে নকআউটের টিকিট। তবে ম্যাচের মাঝপথে জোয়াও কানসেলোর পাশাপাশি দুর্ধর্ষ তরুণ স্ট্রাইকার হালান্ডকেও উঠিয়ে নেওয়ায় জাগে নানা প্রশ্ন।

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা হালান্ডকে বিরতির পর না নামানোর কারণ হিসেবে তিনটি বিষয় গার্দিওলা বলেন, 'তিনটি জিনিস, তাকে আমার খুব ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। দ্বিতীয়ত, তার শরীরে সামান্য ইনফ্লুয়েঞ্জা ছিল। জোয়াওয়ের মতো- জোয়াওয়ের জ্বর ছিল। আর তৃতীয়টি হলো, তার পায়ে চোট ছিল। ফলে সে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার মতো অবস্থায় ছিল না।'

শেষ ষোলোতে যাত্রা আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছে সিটিজেনরা। ফলে সেভিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে একাদশে অনিয়মিতদের সুযোগ মিলবে বলে জানান গার্দিওলা, 'সেভিয়ার বিপক্ষে আমরা সতেজ, অনিয়মিতদের নিয়ে খেলব। কারাবাও কাপের ম্যাচেও সেটাই করব আমরা। এরপর প্রিমিয়ার লিগে নজর দিব। আমাদের শেষ তিনটি ম্যাচ লেস্টার, ফুলহ্যাম, ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে। এরপর সবাই জানে যে বিশ্বকাপ হবে।'

আগামী ৩ নভেম্বর ঘরের মাঠে সেভিয়ার বিপক্ষে না হারলে ও অন্য ম্যাচে এফসি কোপেনহেগের বিপক্ষে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড অবিশ্বাস্য কিছু করে না দেখালে 'জি' গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবেই পরবর্তী রাউন্ডে পা রাখবে সিটি। গার্দিওলার কাছে এটাই শিষ্যদের জন্য শ্রেষ্ঠ অর্জন, 'আপনি যখন এক ম্যাচ হাতে রেখেই পরের পর্ব নিশ্চিত করেন, এটা দলের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। দারুণ একটি গ্রুপ পর্ব পার করেছি আমরা। সব ম্যাচেই আমরা অনেক ভালো করেছি।'

ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জ্বর নিয়েই খেলা পর্তুগিজ ডিফেন্ডার কানসেলোরও প্রশংসা করেন গার্দিওলা, 'জ্বর নিয়েও জোয়াও দুর্দান্ত খেলেছে আজকে (মঙ্গলবার রাতে)। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারণ, সার্জিও (গোমেজ) ও কাইল (ওয়াকার) মাঠে নামার মতো অবস্থায় ছিল না।'

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

24m ago