আলভেজ জানালেন মেসি-নেইমার কেন ‘পশুর মতো’

ফুটবলের বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র। যেকোনো প্রতিপক্ষ রক্ষণকে একাই ভেঙেচুরে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন এই দুই তারকা। বার্সেলোনা ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে দুজনকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন তারকা ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। তার চোখে ফুটবল মাঠে মেসি-নেইমার পশুর চেয়ে কম কিছু নন।

২০১৩ সালে স্পেনে এসে মেসি ও লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে গত দশকের অন্যতম ভয়ংকর আক্রমণভাগ এমএসএন গড়ে তুলেছিলেন নেইমার। ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত আলভেজও ছিলেন ব্লগ্রানা শিবিরে। ২০১৭ সালে নেইমার পাড়ি জমান পিএসজিতে। সেখানেও তার সঙ্গী হন আলভেজ। আবারও সাক্ষী হন জাতীয় দলের সতীর্থের অতিমানবীয় ড্রিবলিংয়ের।

ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবোকে মেসি ও নেইমারের পার্থক্য নিয়ে আলভেজ বলেন, 'নেইমার ও মেসি একইরকম। তারা এমনই খেলোয়াড় যারা অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশি দেখতে পায়, সেই সঙ্গে তাদের আছে নির্দিষ্ট একটি ক্ষমতাও। মেসি গোল করার নেশায় থাকে। সে কেবল গোল করার চিন্তা করে। নেইমার বল হাওয়ায় রেখে স্কিল প্রদর্শন করতে বেশি পছন্দ করে।'

কেবল তাদের সঙ্গেই নয়, এই দুই মহাতারকার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে আলভেজের। সেসময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, 'নেইয়ের (নেইমার) ভিতর একটা পশু বাস করে। যেটাকে কেউ স্পর্শ করলে, ক্ষতি করতে চাইলে বেরিয়ে আসে। তখন আপনি মারা যাবেন, এটাকে থামাতে পারবেন না আপনি। এটা তার রক্ষণের অস্ত্র। যখন আমি তাদের (মেসি ও নেইমার) বিপক্ষে খেলেছি, আমি আমার সতীর্থদের বলতাম: তাদেরকে মেরো (ফাউল করো) না, তাদের ভিতরের জানোয়ারদের জেগে উঠতে দিও না। তোমরা তাদের থামাতে পারবে না, তারা তোমাদের দিন খারাপ করে দেবে।'

পিএসজিতে চলতি মৌসুমটা দুর্দান্ত কাটছে মেসি-নেইমারের। ইতোমধ্যে নিজের নামের পাশে ১২টি গোল ও ১৪টি অ্যাসিস্ট যোগ করেছেন লা পুল্গা। বিপরীতে তার ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ জালের দেখা পেয়েছেন ১৫ বার, সহায়তা করেছেন ১১টি গোলে।

আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কাতারে বসছে ফুটবলের মহাযুদ্ধ বিশ্বকাপ। সেখানে সি গ্রুপে লড়বে আর্জেন্টিনা ও জি গ্রুপে লড়বে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারলে এই দুই মহাতারকার দেখা হতে পারে নকআউট পর্বেও। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মহারণ দেখতে তাই নিশ্চিতভাবেই মুখিয়ে আছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

Every beat of my patriotic heart, every spark of my nation building energy, every iota of my common sense, every conclusion of my rational thinking compels me to most ardently, passionately and humbly appeal to Prof Yunus not to resign from the position of holding the helm of the nation at this crucial time.

1h ago