ডি ব্রুইনার চোখে ‘সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন’ ফোডেন

মাত্র ২২ বছর বয়সেই ফিল ফোডেন নিজেকে পরিণত করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ও ইংল্যান্ড দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যে। অনবদ্য ড্রিবলিং, গতি ও গোল স্কোরিং দক্ষতা তাকে করে তুলেছে অনন্য। সতীর্থকে নিয়ে মুগ্ধ সিটিজেনদের অন্যতম প্রধান তারকা কেভিন ডি ব্রুইনাও, জানালেন এখন পর্যন্ত যতোজন ফুটবলারের সঙ্গে খেলেছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন এই তরুণ মিডফিল্ডার।
ম্যানসিটির একাডেমি থেকে উঠে আসা ফোডেন ২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জায়গা করে নেন পেপ গার্দিওলার রিজার্ভ বেঞ্চে। ২০১৯-২০ মৌসুম থেকে হয়ে হয়ে ওঠেন সিটিজেনদের মাঝমাঠের অন্যতম প্রাণভোমরা। চলতি মৌসুমেও খারাপ নয় তার পারফরম্যান্স, সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন আট গোল ও তিন অ্যাসিস্ট। এই বয়সেই জিতে ফেলেছেন চারটি প্রিমিয়ার লিগ।
বুধবার রাতে লিডসের বিপক্ষে মাঠে নামার প্রাক্কালে সংবাদকর্মীদের ডি ব্রুইনা বলেন, 'সে এখনও একটি তরুণ ছেলে যে ফুটবল খেলতে ভালোবাসে। যতোবারই (তার আশপাশ দিয়ে) বল যেতে দেখবেন সে সেটার দিকে ছোটা শুরু করবে। যতোজন (ফুটবলারের) সঙ্গে আমি খেলেছি তার মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন সে, তার (পারফরম্যান্সের) সর্বোচ্চ সীমারেখা অনেক উঁচুতে হতে পারে। ইতোমধ্যে সে চারটা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে, এবং তার বয়স মাত্র ২২।'
সময়ের সঙ্গে ফুটবল পরিণত হয়েছে অনেকটাই কৌশল নির্ভর খেলায়। ফলে পেলে-ম্যারাডোনাদের যুগের জাদুকরী ফুটবলের দেখা মেলে কমই। তবে ফোডেনের ভিতর সেই ব্যাপারটি খুঁজে পান বেলজিয়ান মহাতারকা, 'সে তার নিজের জন্যই ভালো করছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সে খুবই বুদ্ধিমান। অনেক কৌশলের ভিড়ে আপনার এখনও এমন একজন আছে যার ভিতরে সামান্য জাদু রয়েছে এবং সে (ফোডেন) তাদেরই একজন।'
ম্যানসিটির মতো দলে খেলাটাও ফোডেনের ক্যারিয়ারের অন্যতম প্রাপ্তি বলে মনে করেন ব্রুইনা, '(ফোডেনের) সীমারেখা অনেক উঁচুতে। ইতোমধ্যে এই বয়সেই আমাদের মতো একটি দলে খেলে সে অনেক কিছু (অর্জন) করে ফেলেছে যাদের (ম্যানসিটি) সব (শিরোপাই) জয়ের লক্ষ্য থাকে। যদি সে চায় আগামী ১৫ বছর সে (পারফরম্যান্সের এই ধারা) ধরে রাখতে পারবে ও এরপর সে যেটা হতে চায় সেটাই হতে পারবে।'
Comments