নিজের দলকে চিনতে খুব কষ্ট হচ্ছিল পিএসজি কোচের

ফাইল ছবি: এএফপি

চলমান ২০২২-২৩ মৌসুমে পিএসজি আর অপরাজিত নয়। তাদের অপ্রতিরোধ্য যাত্রা থামিয়ে দিয়েছে লেঁস। হারের পর কোনো অজুহাত দেখাননি ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে। প্রতিপক্ষকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি নিজের শিষ্যদের ভুলত্রুটি তুলে ধরেছেন তিনি।

রোববার রাতে বিবর্ণ পারফরম্যান্সে প্রতিপক্ষের মাঠে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয়েছে লিওনেল মেসি-নেইমারবিহীন পিএসজি। এতে জমে উঠেছে লিগ ওয়ানের শিরোপা জয়ের লড়াই। ১৭ ম্যাাচে ১৪ জয় ও দুই ড্রয়ে প্যারিসিয়ানদের পয়েন্ট ৪৪। তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। সমান ম্যাচ খেলে ১২ জয় ও চার ড্রয়ে দুইয়ে থাকা লেঁসের পয়েন্ট ৪০।

প্রথমার্ধের শুরুতেই শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। তিন মিনিটের ব্যবধানে পিএসজিকে সমতায় ফেরান হুগো একিতিকে। লোইস ওপেন্দা বিরতির আগে আবার লেঁসকে লিড পাইয়ে দেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ান অ্যালেক্সিস ক্লদ মরিস। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও জালের দেখা পাননি কিলিয়ান এমবাপে-আশরাফি হাকিমিরা।

লেঁসের গতিময় পাল্টা আক্রমণে ধরাশায়ী হয় পিএসজি। রক্ষণভাগে তাদের সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল স্পষ্ট। অন্যদিকে, আক্রমণভাগে এমবাপে নিজে যেমন ঝলক দেখাতে পারেননি, তেমনি সতীর্থরাও তাকে যোগ্য সহায়তা করতে ব্যর্থ হন। সব মিলিয়ে খেলার ধরন দেখে নিজের দলকে প্রায় অপরিচিত লাগছিল গালতিয়ের।

ম্যাচের পর পিএসজি কোচ বলেন, সময়ের সঙ্গে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন তারা, 'লেঁস যোগ্য হিসেবে জিতেছে। আর নিজের দলকে চিনতেই আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমরা গোল হজম করেছি তাদের শক্তির (জায়গাগুলোর) কারণে- বলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ও নিজেদের অর্ধ থেকে আক্রমণে ওঠা। আমাদের সমন্বয়ের অভাব ছিল। সময় যত গড়িয়েছে, আমরা তত তলিয়ে গেছি। যদিও লেঁস প্রথম গোল করার পর আমরা লড়াইয়ে ফিরে এসেছিলাম।'

শিষ্যদের এমন বেহাল দশা বিস্মিত করেছে তাকে, 'আমরা (তাদেরকে মাঠে) অনেক জায়গা দিয়েছি এবং বল নিয়ে অনেক ভুল করেছি। বলের নিয়ন্ত্রণে থাকাকালীন আমরা যেভাবে খেলেছি, আমরা অনেক (সুযোগ) নষ্ট করেছি যা আমার ছেলেদের দিক থেকে বিস্ময়কর, তারা সাধারণত এরকম খেলে না। ম্যাচের কিছু কিছু নির্দিষ্ট সময়ে সমন্বয়ের প্রচুর ঘাটতি ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
price hike of essential commodities in Bangladesh

Essential commodities: Price spiral hits fixed-income families hard

Supply chain experts and consumer rights activists blame the absence of consistent market monitoring, dwindling supply of winter vegetables, and the end of VAT exemptions granted during Ramadan.

14h ago