মেসি-নেইমার না থাকাতেই পিএসজির হার, মানতে নারাজ মার্কুইনহোস

ছবি: এএফপি

আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা দুই অস্ত্র ছিলেন অনুপস্থিত। লিওনেল মেসি ছুটি কাটিয়ে এখনও আর্জেন্টিনা থেকে ফেরেননি ফ্রান্সে। আগের ম্যাচে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় খেলার সুযোগ ছিল না নেইমারের। তবে তারা না থাকাতেই পিএসজি হেরেছে, এমনটা মানতে নারাজ অধিনায়ক মার্কুইনহোস।

রোববার রাতে মেসি-নেইমারকে ছাড়া নেমে সুবিধা করতে পারেনি ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের ডেরায় মলিন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তারা। চলমান মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাদেরকে প্রথম হারের তেতো স্বাদ দিয়েছে লেঁস। ফরাসি লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দলের ম্যাচে ৩-১ গোলে পরাস্ত হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এতে জমে উঠেছে আসরের শিরোপা জয়ের লড়াই। শীর্ষে থাকা পিএসজি ও দুইয়ে অবস্থান করা লেঁসের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান এখন মাত্র চার।

শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোভস্কি ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতান। সমতায় ফিরতে কেবল তিন মিনিটের লাগে পিএসজির। হুগো একিতিকে খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। লোইস ওপেন্দা প্রথমার্ধের ২৮তম মিনিটে আবার লেঁসকে এগিয়ে দেন। ফলে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় তারা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই ব্যবধান বাড়ান অ্যালেক্সিস ক্লদ মরিস। ম্যাচে ফেরার জন্য অনেক সময় হাতে ছিল প্যারিসিয়ানদের। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপে-আশরাফি হাকিমিদের গোল করার প্রচেষ্টা যায় বিফলে। ফলে হতাশা নিয়ে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

মেসি-নেইমার না থাকায় দলের শক্তি যে কমে গিয়েছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু অতীতে তাদেরকে ছাড়াও পিএসজির জেতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন মার্কুইনহোস, 'তারা দারুণ খেলোয়াড় যারা (মাঠে) পার্থক্য গড়ে দেন। কিন্তু আমরা ইতোমধ্যে তাদেরকে ছাড়া (ম্যাচ) জিতেছি।'

গালতিয়ের শিষ্যদের খেলায় সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল স্পষ্ট। সেটা স্বীকার করে অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মার্কুইনহোস বলেন, 'আমাদের ফের দলের জন্য সঠিক সমন্বয় খুঁজে বের করতে হবে। আমি মনে করি, লেঁস তুলনামূলক বেশি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে, ম্যাচের প্রথমার্ধে। মাটিতে বল দখলের লড়াইয়ে তারা জয়ী ছিল, এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।'

লিগ ওয়ানে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার যাত্রা থেমেছে পিএসজির। গত বছরের মার্চে ফ্রান্সের শীর্ষ এই ফুটবল আসরে শেষবার হেরেছিল তারা। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল মোনাকো।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

13h ago