ফন ডাইক ইনজুরিতে পড়েননি, প্রত্যাশা ক্লপের

দ্বিতীয়ার্ধে তিন পরিবর্তন নিয়ে শুরু করে লিভারপুল। যার মধ্যে ছিলেন দলের অন্যতম সেরা তারকা ভার্জিল ফন ডাইকও। তখন থেকেই আলোচনা ইনজুরিতে পড়েননি তো এই ডাচ তারকা। ম্যাচ শেষে তাদের পরিবর্তন করার কারণ জানালেন লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
সোমবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে লিভারপুল। ফরাসি ডিফেন্ডার কোনাতের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইয়োয়ানে উইসা। এরপর অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইন লিভারপুলের হয়ে ব্যবধান কমালেও শেষ দিকে ব্রায়ান এমবিউমোর গোলে হার মানতে বাধ্য হয় অলরেডরা।
প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে হার্ভি ইলিয়ট, ফন ডাইক ও কনস্তান্তিনোস সিমিকাসকে নামিয়ে নেবি কেইটা, জুয়েল মাতিপ ও অ্যান্ড্রু রবার্টসনকে নামান ক্লপ। ইলিয়ট ও সিমিকাসকে কৌশলগত কারণে নামালেও ফন ডাইককে বাধ্য হয়েই নামাতে হয়েছে বলে জানান ক্লপ। বড় কোনো ইনজুরির ইঙ্গিত না থাকলেও অস্বস্তি নিয়েই ছাড়তে হয়েছে এ ডাচ ডিফেন্ডারকে।
ফন ডাইক ইনজুরিতে পড়েছেন কি-না জানতে চাইলে ম্যাচ শেষে বিইন স্পোর্টসকে ক্লপ বলেছেন, 'আশা করি না। ভার্জিল তার পেশীতে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করেছিল। কিন্তু বলেছিল যে সে ভালো আছে, এবং সে এই জিনিসগুলোর খুব ভাল বিচারক, তবে আমি কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। যখন আমি বলেছিলাম যে আমি ঝুঁকি নিতে চাই না তাতে ফিজিওরাও বেশ খুশি ছিল! এটি কোনো আঘাত নয়, ও কেবল তীব্রতা অনুভব করেছিল। অন্য দুটি ছিল কৌশলগত।'
তিন পরিবর্তনে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফল পেয়েছিলেন ক্লপ। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দুইবার বল ব্রেন্টফোর্ডের জালে জড়ায় বল। প্রথমবার ডারউইন নুনেজ অফসাইডে থাকায় গোল বাতিল হলেও চেম্বারলেইলের গোলে ম্যাচে ফিরেছিল দলটি। কিন্তু শেষদিকে এমবিউমোর গোলে সব আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। তবে এই গোলে আপত্তি রয়েছে ক্লপের। কারণ মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল পাওয়ার আগে ইব্রাহিমা কোনাতেকে সজোরে ধাক্কা দিয়েছিলেন এমবিউমো।
ক্লপের ভাষায়, 'তৃতীয়টা গোল হয়নি, একেবারেই স্পষ্ট। আপনি যদি কখনো ফুটবল খেলে থাকেন এবং পা স্প্রিন্টে থাকে তখন যদি সামান্য ধাক্কা খান তাহলে আপনি ভারসাম্য রাখতে পারবেন না এবং আপনি পড়ে যাবেন। এটি কেমন হয়েছে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।'
তবে এই হারে শিরোপা লড়াই থেকে আরও পিছিয়ে পড়ল লিভারপুল। ১৭ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট ষষ্ঠ স্থানে আছে লিভারপুল। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলেই ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ রয়েছে আর্সেনাল। তাদের সমান ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
Comments