তৃতীয় স্তরের শ্যাঁতোহুকে হালকাভাবে নিয়েছিল পিএসজি!

প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্সের তৃতীয় স্তরের শ্যাঁতোহু। ম্যাচটা সহজ হবে ভেবেই নিয়েছিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে। কিন্তু আর একটু হলেই বিপদে পড়তে পারতো দলটি। যদিও শেষ দিকে গোল দিয়ে মান বাঁচান কার্লোস সোলার ও হুয়ান বার্নাত। তবে শ্যাঁতোহুকে যে কিছুটা হালকাভাবে নিয়েছিলেন তা স্বীকার করেছেন পিএসজি কোচ।

প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্সের তৃতীয় স্তরের শ্যাঁতোহু। ম্যাচটা সহজ হবে ভেবেই নিয়েছিলেন পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে। কিন্তু আর একটু হলেই বিপদে পড়তে পারতো দলটি। যদিও শেষ দিকে গোল দিয়ে মান বাঁচান কার্লোস সোলার ও হুয়ান বার্নাত। তবে শ্যাঁতোহুকে যে কিছুটা হালকাভাবে নিয়েছিলেন তা স্বীকার করেছেন পিএসজি কোচ।

কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমার জুনিয়র ছুটিতে থাকলেও ছুটি কাটিয়ে আর্জেন্টিনা থেকে ফেরা লিওনেল মেসিকে স্কোয়াডে রাখেননি গালতিয়ে। ফলে শ্যাঁতোহুর বিপক্ষে অনভিজ্ঞ আক্রমণভাগ নিয়ে খেলতে হয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। একই অবস্থা ছিল মাঝমাঠ ও রক্ষণেও। অভিজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন কেবল মার্কুইনহোস।

তৃতীয় স্তরের লিগে খেলা শ্যাঁতোহু লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীদের এমন ঘাম ঝরিয়ে দিবেন তা অনুমিত ছিল না মোটেও। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গালতিয়ে বলেন, 'আমরা কি ভেবেছিলাম (ম্যাচটি) সহজ হবে? হতে পারে।'

ম্যাচ শুরুর ১৩ মিনিটের মাথায় হুগো একিতিকের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ৩৭ মিনিট পর্যন্ত সবই চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু এরপরই নাতানায়েল এনতোলার শট এল শাদাইলে বিতশিয়াবুর পায়ে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এরপর যথাক্রমে ৭৮তম মিনিটে সোলার ও যোগ করা সময়ে বার্নাত গোল করলে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে গালতিয়ের শিষ্যরা।

ঘাম ঝরিয়ে জিতলেও তরুণদের খেলা মনে ধরেছে ৫৬ বছর বয়সী কোচের, 'তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তারা গুরুত্ব (সহকারে ম্যাচটি খেলেছে) ও গতিশীল ছিল। ইসমায়েলের খেলা আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। ওয়ারেনের মানও ভালো ছিল। (গোল হজমের কারণে) এল শাদাইলে নাখোশ ছিল।'

শেষ পর্যন্ত পরের রাউন্ডে যেতে পারায় তৃপ্তি ঝরল গালতিয়ের কণ্ঠে, '(পরের রাউন্ডে) যেতে পারার একটি তৃপ্তি আছে। এমন ম্যাচগুলো কঠিন। শুরুটা ঠিকঠাকই ছিল প্রথম গোলের কারণে যেমনটা আমি আশা করেছিলাম। এরপর আমার দলটা দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ল ও এটা শ্যাঁতোহুকে অনেক আশাবাদী করেছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago