সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো গ্রিতকে
একে কিংবদন্তি জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তার উপর এক নারী ফুটবল এজেন্টকে যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে বেশ চাপেই ছিলেন নোয়েল লে গ্রিত। শেষ পর্যন্ত তাকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। সহ-সভাপতি ফিলিপে দিয়ালোকে দেওয়া হয়েছে সভাপতির দায়িত্ব।
মঙ্গলবার গ্রিতকে অব্যাহতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতীয় এথিকস কমিটির প্রধান পাত্রিক অঁতোঁ। এরপর বুধবার এফএফএফের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। দুই ঘণ্টা ব্যাপী সভা শেষে এক বিবৃতি দিয়ে গ্রিতকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কমিটির ১৩ সদস্যের সঙ্গে আলোচনার পর গ্রেত নিজে থেকেই অব্যাহতি নেন।
কদিন আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জিদানকে চরমভাবে হেয় করে বসেন ৮১ বছর বয়সী গ্রিত। এতে ক্ষেপে উঠেন জিদান ভক্তরা। ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশ্য পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে শেষ পর্যন্ত লাভ হয়নি। সরে যেতেই হলো তাকে।
ঘটনার সূত্রপাত জিদানের ফ্রান্সের কোচ হওয়া প্রসঙ্গে। বিশ্বকাপের পর বর্তমান কোচ দিদিয়ের দেশমের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি মিডফিল্ডার, এমন খবর উড়ছিল বাতাসে। তবে শনিবার দেশমের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দেয় এফএফএফ। এদিকে ফ্রান্সের মতো ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়েও বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছিল জিদানের নাম। এই বিষয়ে গ্রিতকে প্রশ্ন করা হলে বোমা ফাটান তিনি।
জিদান যদি ব্রাজিলের দায়িত্ব নেন তবে কেমন বোধ করবেন এমন প্রশ্নে ফরাসি গণমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টসকে গ্রিত বলেছিলেন, 'এতে আমার কিছুই যায় আসে না। তার (জিদান) যেখানে খুশি যেতে পারে। তার যা খুশি সে করুক, এটা আমার দেখার বিষয় না। আমি কখনো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি। দিদিয়েরের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটানোর চিন্তা কখনোই আমরা করিনি। সে যেখানে চায় যেতে পারে, যেকোনো ক্লাবে... জিদান যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করত? অবশ্যই না, এমনকি আমি ফোনও ধরতাম না।'
এছাড়া এফএফএফ কর্মীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত করছে ফ্রান্স ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠিত অডিট কমিশন। জানুয়ারির শেষ দিকে এই রিপোর্ট প্রকাশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Comments