আর্থিক নিয়ম ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত ম্যান সিটি

আর্থিক নিয়ম ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চার বছর তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ক্লাবটিকে একটি স্বাধীন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে তারা।
ছবি: এএফপি

আর্থিক নিয়ম ভাঙার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। চার বছর তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে ক্লাবটিকে একটি স্বাধীন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে তারা।

সোমবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে প্রিমিয়ার লিগ। অভিযোগ অনুসারে, ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুমের মধ্যে আর্থিক নিয়ম ভাঙার ঘটনাগুলো ঘটেছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সিটি ২০০৯-১০ থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুমের মধ্যে ক্লাবের রাজস্ব নিয়ে সঠিক আর্থিক তথ্য প্রদান করেনি। বিশেষ করে, স্পন্সরশিপ রাজস্ব ও পরিচালনা ব্যয়ের ক্ষেত্রে তারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া, ২০০৯-১০ মৌসুম থেকে ২০১৫-১৬ মৌসুমের মধ্যে কোচ ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আর্থিক তথ্য গোপন করেছে তারা।

২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট ও আর্থিক সংগতি নীতি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে ম্যান সিটি। সব কিছু মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে একটি স্বাধীন কমিশনের কাছে পাঠিয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারী সিটি বিভিন্ন শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে পয়েন্ট কাটা যাওয়া, খেলোয়াড়দের দলবদলে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ও প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমন হওয়া।

এর আগে উয়েফার ক্লাব লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট ও আর্থিক সংগতি নীতি ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা জুটেছিল ম্যান সিটির। ২০২০ সালে তাদেরকে ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতা থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ক্লাবটির আপিলের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত সেই শাস্তি বাতিল করে দেয়।

২০০৮ সালে আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ সিটির মালিকানায় আসে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত ছয়বার প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। তবে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা অধরাই থেকে গেছে তাদের।

Comments

The Daily Star  | English
interim government's dialogue with BNP

Reforms ahead of polls: BNP waits with cautious optimism

Having weathered a very difficult 15 years as de facto opposition, the BNP now wants only the essential reforms done to ensure free and fair polls.

15h ago