'হালান্ডকে থরের মতো দেখায়'
শক্তি, পৌরুষ, ঝড় এবং বজ্রের অধিপতি হিসাবে নর্স দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিধর থর। সোনালী চুলের এ দেবতা হাতুড়ি হাতে সহজেই সামলে ফেলতেন বড় বড় দানবদের। হাতুড়ি হাতে না নামলেও বল পায়ে প্রতিপক্ষকে প্রায় নিয়মিতই বিধ্বস্ত করেন আর্লিং হালান্ড। থরের সঙ্গে তাই হালান্ডের দারুণ মিল দেখছেন আরবি লাইপজিগ কোচ মার্কো রোজ।
ব্রায়ানের পর মোল্ডের হয়ে খেললেও হালান্ডের উত্থান সলজবার্গে। রোজ তখন সেই দলটির কোচ। তার অধীনেই অল্প দিনের মধ্যে নজর কাড়েন হালান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক। এরপর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে এ তরুণ। খেলেছেনও দুর্দান্ত ছন্দে। তাকে দেখে তাই থরের কথাই মনে করলেন সাবেক সলজবার্গ কোচ।
রাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে লাইপজিগ। যেই দলটির আক্রমণভাগের মূল ভরসা হালান্ড। এরমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগে একাধিক নতুন রেকর্ড গড়েছেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সিটির হয়ে ৩১ ম্যাচে করেছেন ৩২ গোল।
ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাবেক শিষ্য প্রসঙ্গে রোজ বলেন, '(সলজবার্গে থাকাকালীন সময়ে) তার শরীর অন্যরকম ছিল কিন্তু এখন আপনি তাকে দেখেন... তাকে তো থরের মতো দেখায়।'
এরপর পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করে এ কোচ আরও বলেন, 'সালজবার্গে মাস দুয়েক পরেই আপনি তার গুণ দেখতে পেরেছিলেন। আমার মনে আছে আমাদের একটি ম্যাচে গোল করার পর, সে চলে গিয়েছিল অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে খেলতে এবং সে নয়টি গোল করেছিল। এটা তার জন্য একটি ভাল সূচনা ছিল। এখন সে একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় যে বিশ্বের সেরা একটি ক্লাবের হয়ে খেলছে।'
সে সময়ের চেয়ে বর্তমানে হালান্ড আরও ধারালো হয়েছেন জানিয়ে বলেন, 'আমার মনে হয় তার মানসিকতা এমন যে সে পোস্ট দেখলেই গোল করার জন্য পাগল হয়ে যায়। সে দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে এবং তার খেলার টেকনিক্যাল দিক এবং তার গতিবিধিতে অনেক উন্নতি করেছে।'
Comments