সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো নেই ফিফার সেরা একাদশে
বর্ষসেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। অথচ সেই গোলরক্ষকই নেই ফিফার বর্ষসেরা একাদশে। এছাড়া তারকা দুই খেলোয়াড় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নেইমারও অনুপস্থিত এ একাদশে।
সোমবার রাতে ফ্রান্সের প্যারিসে দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের বর্ষসেরা একাদশ নির্বাচন করেছে ফিফা। ৩-৩-৪ ফর্মেশনের একাদশে রয়েছে বেশ কিছু চমক। গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের থিবো কোর্তোয়া।
রোনালদো-নেইমারের না থাকা অবশ্য খুব বেশি চমকের কিছু নেই। গত মৌসুমটা ভালো যায়নি রোনালদোর। তবে নেইমার খুব একটা খারাপ করেননি। তবে সেরা একাদশে ফরোয়ার্ড চারজন থাকায় থাকতেই পারতেন তিনি।
আক্রমণভাগে যথারীতি রয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা পুরষ্কার জিতে নেওয়া লিওনেল মেসি। তার সঙ্গে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা দুই ফরাসি কিলিয়ান এমবাপে ও করিম বেনজেমা। তালিকায় চতুর্থ নামটি ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড।
মিডফিল্ডে আছেন সিটির বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রুইনে। আছেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পাড়ি জমানো কাসেমিরো। এছাড়া রয়েছেন তারসাবেক সতীর্থ লুকা মদ্রিচও।
রক্ষণভাগে কিছুটা চমক জাগিয়ে রয়েছেন লিভারপুলের ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। যদিও সাম্প্রতিক সময়টা ভালো যাচ্ছে না তার। আছেন ছন্দ হারিয়ে পেপ গার্দিওলার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে সিটি ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়া জোয়াও ক্যানসেলোও। এ দুই ডিফেন্ডারের সঙ্গী পিএসজির আশরাফ হাকিমি।
ফিফা বর্ষেসরা একাদশ: থিবো কোর্তোয়া (বেলজিয়াম/রিয়াল মাদ্রিদ), ভার্জিল ফন ডাইক (নেদারল্যান্ডস/লিভারপুল), জোয়াও ক্যানসেলো (পর্তুগাল/বায়ার্ন মিউনিখ), আশরাফ হাকিমি (মরক্কো/পিএসজি), কেভিন ডি ব্রুইনে (বেলজিয়াম/ম্যানচেস্টার সিটি), কাসেমিরো (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), লুকা মদ্রিচ (ক্রোয়েশিয়া/রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/পিএসজি), কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স/পিএসজি), করিম বেনজেমা (ফ্রান্স/রিয়াল মাদ্রিদ), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি)।
Comments