'শির' হারিয়ে ফেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
'বিধ্বস্ত', 'বিব্রতকর', 'অসম্মানজনক'। সরাসরি 'লজ্জা' বা 'অপমান' বললেও ভুল বলা হবে না। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিপক্ষে এমন ভাবে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেখে নিজেদের যেন লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকরা। কোচ এরিক টেন হাগ তো বললেন, যেন নিজেদের শির হারিয়ে ফেলেছেন।
রোববার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে লিভারপুল। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে তারা জিতেছে ৭-০ গোলের রেকর্ড ব্যবধানে। প্রথমার্ধে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়া দলটি দ্বিতীয়ার্ধে জালের ঠিকানা খুঁজে নেয় আরও ছয়বার!
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রধান কোচ এরিক টেন হাগ বলেন, 'দ্বিতীয়ার্ধে এটা আমাদের ছিল না। এটা আমাদের মান ছিল না, আমরা দল হিসেবে খেলিনি। আমি বিস্মিত কারণ আমি গত সপ্তাহ এবং মাসগুলোতে এমন একটি দল দেখেছি যারা বিজয়ী মনোভাবের সঙ্গে সংকল্পবদ্ধ ছিল। আমরা পরিকল্পনায় অটল থাকিনি, আমরা আমাদের শির হারিয়ে ফেলেছি। আমরা আমাদের কাজ করিনি এবং এটি সত্যিই অপেশাদার।'
৭-০ গোলের ব্যবধানে হার আরও তিনবার দেখেছে ইউনাইটেড। কিন্তু তার সবশেষটা ছিল সেই ১৯৩১ সালে। এরপর এতো বড় ব্যবধানে আর হারেনি তারা। ১৯২৬ সালের এপ্রিলে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে, ১৯৩০ সালের ডিসেম্বরে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এবং ১৯৩১ সালে উলভসের বিপক্ষে এই ব্যবধানে হারে তারা। তবে টেন হাগের অধীনে এর আগে বড় পরাজয় ছিল ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে এবং ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৬-৩ ব্যবধানে।
অথচ এই টেন হাগের অধীনেই ছয় বছর পর শিরোপার মুখ দেখেছিল ইউনাইটেড। এটাই নিজের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্স উল্লেখ করে কোচ বলেন, 'এটি সত্যিই একটি খারাপ পারফরম্যান্স এবং বছরের সবচেয়ে খারাপ ছিল। আমরা প্রথমার্ধের শেষে এবং দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ম্যাচটি হেরেছি কিন্তু আপনাকে মাথা উঁচু করে রাখতে হবে এবং আমরা তা করিনি। শৃঙ্খলা দেখানোর বিষয় ছি এবং আমরা তাও করিনি। এটি সত্যিই অপেশাদার ও অপ্রয়োজনীয়। আপনাকে আপনার কাজ করতে হবে এবং আমরা তা করিনি।'
Comments