দুঃসময় পেরিয়ে জয়ের স্বস্তি পেল রিয়াল
শুরুতেই ধাক্কা খেল রিয়াল মাদ্রিদ। এস্পানিয়লের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ল তারা। তাতে ফের শঙ্কা জাগল বাজে কিছুর। কিন্তু আক্রমণাত্মক পারফরম্যান্সে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল লস ব্লাঙ্কোরা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই লিড নিল দলটি। ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান আরও বাড়াল তারা। তিন ম্যাচ পর জয়ের স্বস্তি পেল কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
শনিবার স্প্যানিশ লা লিগায় এস্পানিয়লের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে শিরোপাধারী রিয়াল। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের তিন গোলদাতা হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এদার মিলিতাও ও মার্কো আসেনসিও। এর আগে সফরকারীদের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন হোসেলু।
এই জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ৬ পয়েন্টে নামাল রিয়াল। ২৫ ম্যাচে তাদের অর্জন ৫৬ পয়েন্ট। তারা আছে লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। শীর্ষে অবস্থান করছে শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে থাকা বার্সা। এক ম্যাচ কম খেলে তাদের পয়েন্ট ৬২।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের তিন ম্যাচে জয়হীন ছিল রিয়াল। লা লিগায় অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ড্র করার মাঝে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সার বিপক্ষে হেরেছিল তারা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে গোল হজম করে বসে রিয়াল। পাল্টা-আক্রমণে ডান প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে ডি-বক্সে নিচু পাস বাড়ান রুবেন সানচেজ। বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান হোসেলু। রিয়ালের সাবেক এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড দুই দলের আগের দেখাতেও গোল করেছিলেন।
১৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত এস্পানিয়লের। ভিনিসিয়ুস দি সোজা কস্তার হেড ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। বেলজিয়ান এই গোলরক্ষক প্রতিপক্ষের ফিরতি প্রচেষ্টাও রুখে দেন।
তেতে উঠে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দেওয়া রিয়াল সাত মিনিট পর পায় সাফল্য। টনি ক্রুসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়ুস। সফরকারীদের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে দিয়ে জোরালো শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। লিগে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের এটি অষ্টম গোল।
সমতায় ফেরার পর রদ্রিগো ও ক্রুসের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে ৩৯তম মিনিটে মিলিতাও জাল খুঁজে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। আহেলিয়া চুয়ামেনির দারুণ ক্রসে হেড করে জাল কাঁপান এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে লম্বা সময় পর্যন্ত চুপচাপ ছিল আনচেলত্তির দল। শেষদিকে ঝিমিয়ে পড়া আক্রমণ পায় গতি। ৭০তম মিনিটে ক্রুসের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাঁচ মিনিট পর রদ্রিগোর ফ্রি-কিক বাধা পায় ক্রসবারে।
যোগ করা সময়ে ফার্নান্দো পাচেকো ফের পরাস্ত হন। বাঁ পায়ের শটে এস্পানিয়লের এই গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন বদলি নামা স্প্যানিশ উইঙ্গার আসেনসিও। তাকে বলের যোগান দিয়েছিলেন নাচো ফার্নান্দেজ। ফলে ভীষণ প্রয়োজনীয় জয় নিশ্চিত হয় রিয়ালের।
Comments