লাইপজিগের জালে সিটির ৭ গোল, হালান্ড একাই দিলেন ৫টি
কে বলবে আগের লেগে দুই দলের লড়াই শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে! আরবি লাইপজিগের মাঠে গিয়ে খাওয়া ধাক্কা নিজেদের মাঠে পুষিয়ে দিতে চেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু তাই বলে এভাবে! গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড একে একে দিলেন পাঁচ গোল। গোল পেলেন গিন্দোয়ান আর কেভিন ডি ব্রুইনাও। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ইংলিশ জায়ান্টরা।
মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যানসিটি জিতল ৭-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের এগিয়ে থেকে শেষ আট নিশ্চিত হলো পেপ গার্দিওয়ালার দলের। একাই পাঁচ গোল করে তাতে নায়ক হালান্ড।
প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে এই ম্যাচে একাধিক রেকর্ডেও নাম উঠিয়েছেন হালান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই নিয়ে স্রেফ ২৫ ম্যাচেই ৩০ গোল স্পর্শ করে ফেলেছেন তিনি। তারচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই অর্জন নেই আর কারো। তিনি ভেঙে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ফরোয়ার্ড রুড ফন নিস্টলরয়ের রেকর্ড। নিস্টলরয় ৩৪ ম্যাচে করেছিলেন তা।
সিটির হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডও গড়েছেন হালান্ড। এবার ৩৯তম গোল করে ভেঙে দিয়েছেন টমি জনসনের সেই ১৯২৮-২৯ মৌসুমে গড়া রেকর্ড।
অথচ গত কয়েকদিন হালান্ডের ফর্ম নিয়ে উঠেছিল অনেক প্রশ্ন। তিনি শুরুর ঝলকের পর হারিয়ে গেলেন কিনা, এমন টিপ্পনী কাটছিলেন অনেকে। সবশেষ ৯ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল করে চাপে ছিলেন নরওয়াজিয়ান স্ট্রাইকার। সব চাপ এই ফরোয়ার্ড সরালেন প্রবল হুঙ্কারে, একের পর এক গোল করে চেনালেন নিজের সামর্থ্য।
শুরু থেকে চাপিয়ে খেললেও প্রথম গোল আসে ২২ মিনিটে। বক্সের ভেতর লাইপজিগের ডিফেন্ডার হেনরিকসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি পায় সিটি। তা থেকে বা পায়ের শট জালে জড়ান হালান্ড।
দুই মিনিট পর ডি ব্রুইনার মারা শট বারে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বল হেড মেরে দ্বিতীয় গোল পান হালান্ড। বিরতির খানিক আগে কর্নার থেকে আসা বল থেকে হ্যাটট্রিক পুরো করে ফেলেন তিনি।
বিরতির পর জ্যাক গ্রিলিশের পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো শটে জাল খুঁজে নেন গিনদোয়ান। খানিক পর আবার হালান্ড ঝড়। চার মিনিটের মধ্যে আরও দুই দফা উল্লাসে মাতেন তিনি। ৫৩ মিনিটে তার হেড বাধাগ্রস্থ হওয়ার পর ফিরতি বলে জোরালো শটে চার নম্বর গোল পান এই ফরোয়ার্ড। পরের গোলও প্রথম দফায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে বাধা পেয়ে ফিরে এলে জোরালো ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন হালান্ড।
একদম শেষ দিকে ২৫ গজ দূর থেকে ম্যাচের সপ্তম গোল করেন ডি ব্রুইনা।
Comments