কেন হালান্ডকে ডাবল-হ্যাটট্রিকের সুযোগ দিলেন না গার্দিওলা?
'যখন আমি মাঠ ছাড়ি তখন তাকে (গার্দিওলা) বলেছিলাম যে, আমি ডাবল হ্যাটট্রিক করতে চাই - কিন্তু আমি কি করতে পারি!' আক্ষেপ করেই কথাটা ম্যাচ শেষে বলেছেন আর্লিং হালান্ড। আর কিছু সময় পেলে হয়তো নতুন ইতিহাস গড়ে ফেলতে পারতেন তিনি। কিন্তু সে সুযোগটাই পেলেন না তিনি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আরবি লাইপজিগকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে ৭-১ গোলের অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় সিটিজেনরা।
লাইপজিগকে সাত গোলের মালা পরালেও মূল আলোচনা হালান্ডকে তুলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে। পুরোটা সময় মাঠে থাকার সুযোগ পেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেতে পারতেন তিনি। কারণ এক ম্যাচে পাঁচ গোলের চেয়ে বেশি গোল দেওয়ার রেকর্ড নেই কেউরই। বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে লিওনেল মেসিও করেছিলেন পাঁচ গোল। তাকে পেছনে ফেলতে পারতেন তিনি।
এদিন ৫৭ মিনিটের মধ্যেই লাইপজিগের জালে আধ ডজন গোল দিয়ে ফেলেছিল সিটি। যেখানে পাঁচটিই ছিল হালান্ডের। এরপর আর মাত্র পাঁচ মিনিট মাঠে ছিলেন হালান্ড। তার জায়গায় আর্জেন্টাইন তরুণ জুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান গার্দিওলা। যে ধারায় সিটি তখন খেলছিল, তাতে বাকি সময়টায় মাঠে থাকলে আরেকটি গোল পেতেই পারতেন এ তরুণ! কিন্তু হালান্ডকে বদল করার পর কেবল একটি গোল পেয়েছে তারা।
ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে এ প্রসঙ্গ। উঠে আসে মেসির রেকর্ড ভাঙার বিষয় নিয়েও। উত্তরে মজা করে গার্দিওলা বলেন, 'যদি ও ২২/২৩ বছর বয়সে এই মাইলফলক অর্জন করে ফেলে তাহলে ওর জীবন বিরক্তিকর হয়ে উঠবে। এখন ওর একটা টার্গেট রইল, সেজন্য আমি বদল করেছি। (বায়ার) লেভারকুসেনের বিপক্ষে মেসির রেকর্ড সম্পর্কে জানতাম না। তবে সাধারণত ম্যাচ শেষ হলে আমি সব খেলোয়াড়কে যতটা সম্ভব খেলতে দিতে চাই।'
Comments