ফাতি-তোরেস-রাফিনহার জন্য প্রস্তাব শুনবে বার্সা!

আগামী গ্রীষ্মের দল-বদলের জন্য নিজেদের পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করে দিয়েছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। দলের কিছু বড় নাম ছেড়ে প্রয়োজনীয় খেলোয়াড় কেনার দিকে মনোযোগ তাদের। সেক্ষেত্রে ছেড়ে দিতে পারে আনসু ফাতি, রাফিনহা ও ফেরান তোরেসের মতো খেলোয়াড়দের। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও স্পোর্ত।

সংবাদ অনুযায়ী, মূলত এ তিন তারকার বাজার যাচাই করে দেখবে ক্লাবটি। কেবল ভালো প্রস্তাব পেলেই ছেড়ে দিবে তারা। কয়েক সপ্তাহ আগে স্বয়ং বার্সা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তাও এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। মূলত যে সকল খেলোয়াড়রা ম্যাচে কম সময় পাচ্ছেন তাদের ছাড়তে চাইছে তারা। যাতে নিজেদের লক্ষ্যে তেমন বড় কোনো ঝুঁকি নিতে না হয়। এ কারণেই ফাতি ও তোরেসকে নিয়ে ভাবছে ক্লাবটি।

ফাতিকে অবশ্য ইউরোপের বেশ কিছু ক্লাবই পেতে আগ্রহী। সেখানে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবের নামও। সে দলের নিয়মিত স্টার্টারও নয়, তার উপর কিছুদিন আগে তার বাবার ঝাঁঝালো মন্তব্যে বিষয়টি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। যদিও বার্সা ছেড়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই এ তরুণের।

ফাতির মতো ক্লাব বার্সা ছাড়তে চান না তোরেসও। নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জটা নিতে চান। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের ওজন কমিয়ে আরও ঝরঝরা হয়েছেন। কিন্তু মাঠে খেলার সুযোগ মিল্ভহে কম। তাকে পেতে চায় ইন্টার মিলান ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ক্লাব। তবে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে ৫৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আনা এ খেলোয়াড়কে লসেই বিক্রি করতে হতে পারে তাদের।

রাফিনহার পরিস্থিতি অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। উসমান দেম্বেলের ইনজুরিতে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন একাদশে। তবে নিজেকে পার্থক্য গড়ার মতো খেলোয়াড়ে পরিণত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। চেলসি সহ প্রিমিয়ার লিগের বেশ কিছু ক্লাবই তাকে পেতে আগ্রহী। তাকে বিক্রি করে অবশ্য কিছুটা লাভ করতে পারে ব্লুগ্রানারা।

এদিকে নিজেদের আরও একটি প্রতিবেদনে স্পোর্ত জানিয়েছে, দেম্বেলের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি বর্তমানে স্থগিত হয়ে রয়েছে। যদিও তাকে নিজের পরিকল্পনার অন্যতম অংশ হিসেবেই বিবেচনা করেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। আগামী মৌসুম শেষে অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুনে বার্সার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ফুঁড়বে এ ফরাসি ফরোয়ার্ডের।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago