হালান্ডের ৪ মিলিয়ন ইউরো বোনাসের মাঝে বাধা রিয়াল ও মেসি!

বেতন-ভাতায় এমনিতেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয় আর্লিং হালান্ডের। এরসঙ্গে বোনাস হিসেবে যুক্তি হতে পারে আরও চার মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু সেখানে তার সামনে বাধ সাধতে পারে ইউরোপের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। এমনকি বড় বাধা হয়ে আছেন তর্ক সাপেক্ষে ইতিহাসের সেরা তারকা লিওনেল মেসিও।
কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও এ বিষয়গুলোই সত্যি। কারণ বোনাসের এই ৪ মিলিয়ন ইউরোর একটি অংশ পেতে হলে জিততে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যেখানে সেমি-ফাইনালে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। আরও একটি অংশ পেতে হলে জিততে হবে ব্যলন ডি'অরও। যেখানে আর্জেন্টাইনদের ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে বিশ্বকাপ জেতানো মেসি রয়েছে এগিয়ে।
চার মিলিয়ন ইউরোর এই বোনাসের ১.১ মিলিয়ন ইউরো হালান্ড পাবেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতলে। সমান ১.১ মিলিয়ন ইউরো বোনাস রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে। আরেক ঘরোয়া প্রতিযোগিতা এফএ কাপ জিতলে পাবেন চার লাখ ইউরো। গোল্ডেন বুট জিতলেও চার লাখ ইউরো বোনাস। সবশেষে ওই ব্যলন ডি'অরে রয়েছে আরও ১.১ মিলিয়ন ইউরো।
এরমধ্যে গোল্ডেন বলের দৌড়ে হালান্ডের ধারেকাছে নেই কেউ। এই ট্রফি প্রায় নিশ্চিত তার। মাঝ পথে আর্সেনালের হোঁচটে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখা অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে সিটির জন্য। এক ম্যাচ কম খেলেও তারা এগিয়ে আছে এক পয়েন্টের ব্যবধানে। তাই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের বোনাসটাও প্রায় হাতের মুঠোতেই আছে।
এছাড়া এফএ কাপেও ফেভারিট সিটি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঠিক যেন বিপরীত মেরুতে রয়েছে দলদুটি। উড়তে থাকা সিটির সামনে সাম্প্রতিক সময়ে খেই হারিয়ে বসেছে ইউনাইটেড। তাই ঘরোয়া দুটি শিরোপা জয়ে তেমন বড় কোনো বাধা নেই বললেই চলে।
কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতায় তাদের সমকক্ষ নেই কেউই। ইউরোপীয় এই প্রতিযোগিতায় এলেই যেন দলটি আরও তাতিয়ে ওঠে। তাই সাম্প্রতিক সময় যেমনই হোক না কেন, সেমির বাধা টপকানো কঠিন হয়ে যাবে সিটিজেনদের।
এছাড়া আর্জেন্টিনাকে দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ জেতানো মেসি এবার ব্যলন ডি'অর প্রধান প্রতিপক্ষ। তাই সিটি ট্রেবল জিতলেও শঙ্কা রয়েছে হালান্ডের ট্রেবল জয় নিয়ে। দারুণ খেললেও দলের মূল তারকা তিনি নন। এখনও কেভিন ডি ব্রুইনাকেই মানা হয় সিটির শীর্ষ তারকা হিসেবে।
Comments