সমর্থকদের দুয়োয় মেসির দায়ও দেখছেন সাবেক ফরাসি কোচ

ছবি: এএফপি

সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় নিয়মিতই পিএসজি সমর্থকদের রোষানলে পড়ছেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে তার পায়ে বল গেলেই দুয়ো দিচ্ছেন ক্লাবটির সমর্থকরা। মাঠের বাইরেও সরব হয়ে উঠেছে 'পিএসজি আল্ট্রাস' নামক এই গ্রুপটি। তবে এর নিন্দা জানিয়েছে পিএসজি কর্তৃপক্ষও। তবে এখানে মেসির দায়ও দেখছেন ফ্রান্সের সাবেক কোচ রেমন্ড ডমিনেখ।

ফ্রান্সে যাওয়ার পর প্রথম মৌসুমে সে অর্থে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি মেসি। দ্বিতীয় মৌসুমে নিজেকে ফিরে পান, কিন্তু মৌসুমের মাঝ পথে পিএসজি বিদায় নেয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে। তখন থেকেই সমর্থকদের তোপে পড়েন মেসি। এরপর কাতারে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ এনে দেন তিনি। তাও আবার সেই ফাইনালে তারা হারিয়েছে ফ্রান্সকে। সমর্থকদের চক্ষুশূলে পরিণত হওয়ার পেছনে পরোক্ষভাবে কাজ করেছে এই বিষয়টিও।

তবে এই বিষয়গুলো নিয়ে সম্প্রতি ফ্রান্সের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম লা'কিপের বিশেষ প্রোগ্রাম 'লা'কিপ ডু সোরে' ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলেন ডমিনেখ। পিএসজির সমর্থকদের সঙ্গে পিএসজির সমর্থকদের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি করতে না পারাকেই দায় দিচ্ছেন তিনি।

'সে সাফল্য পাচ্ছে না, কিংবা সমর্থকদের সঙ্গে যে সম্পর্ক তৈরি করতে যা কিছু দরকার, সেটাও সে করতে চাইছে না। যে কারণে সে তাদের (ভালোবাসা) ফেরত পাচ্ছে না। এটাই সমস্যা। কোনো না কোনোভাবে এই দুয়োর জন্য সেও (মেসি) দায়ী,' বলেন ডমিনেখ।

ম্যাচ শেষে সমর্থকদের সঙ্গে মেসির শুভেচ্ছা বিনিময় না করার বিষয়টি তুলে ধরে আরও বলেন, 'ম্যাচ শেষ হতেই সে মাঠ ছেড়ে চলে যায়। সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে যায় না। সে দর্শকের সাথে সরাসরি সংযোগটা রাখে না। এভাবেও এই অম্ল-মধুর সম্পর্কটা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।'

এদিকে পিএসজির সঙ্গে জুনের শেষেই চুক্তির মেয়াদ ফুরলেও এখনও তা নবায়নের কোনো ইঙ্গিতই নেই। ফরাসি গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী, দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেড়েছে। যা ঠিক করার কোনো পথই নেই। তাতে মৌসুম শেষেই শেষ হচ্ছে মেসির পিএসজি অধ্যায়। আগামী মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে যোগ দেওয়ার এমনকি বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জনই চড়া ফুটবল মহলে।

Comments

The Daily Star  | English

Why are onion prices rising abruptly?

Onion prices have been increasing over the past weeks, as farmers and traders release fewer stocks to local markets in the hope of better returns amid the government’s suspension of imports

1h ago