ইতালিয়ান ফুটবলের অন্যরকম হ্যাটট্রিক

ক্লাব কিংবা আন্তর্জাতিক ফুটবল। একটা সময় সব ক্ষেত্রেই ছিল ইতালিয়ানদের জয়জয়কার। কিন্তু গত এক যুগে বদলে যায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে থাকে তারা। ইউরোপের সেরা মঞ্চে ইতালিয়ান ক্লাবগুলোকে আর দেখা যায়নি। এমনকি শেষ দুটি ফিফা বিশ্বকাপেও জায়গা করে নিতে পারেনি ইতালিয়ানরা। তবে আবার যেন সুদিন ফিরতে শুরু করেছে ইতালিতে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের সূচিতে যখন দুই মিলানের খেলা পড়ে, তখন থেকেই জানা একটি দল খেলছে ফাইনালে। শেষ পর্যন্ত সেখানে এসি মিলানকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় ইন্টার মিলান। সবশেষ ২০০৯-১০ মৌসুমে ফাইনালে খেলেছিল তারা। সেবার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল নেরারুজ্জিরা।
এছাড়াও একই সুযোগ ছিল অপর দুটি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতা -ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগেও। ইউরোপা লিগের দুই সেমি-ফাইনালে ছিল এএস রোমা ও জুভেন্টাস। আর কনফারেন্স লিগে ফিউরেন্টিনা। সেখানে জুভেন্তাস না পারলেও নিজ নিজ প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে রোমা ও ফিউরেন্টিনা।
বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিভারকুসেনের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে রোমা। এর আগে প্রথম লেগে ঘরের মাঠের ১-০ গোলে জিতেছিল জোসে মরিনহোর দল। প্রথম লেগের সেই জয়েই শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট পায় রোমা। গতবার মরিনহোর অধীনে এই দলটি জিতেছিল কনফারেন্স লিগের শিরোপা।
তবে শঙ্কা ছিল ফিউরেন্টিনাকে নিয়ে। কারণ ঘরের মাঠে সুইজারল্যান্ডের এফসি বাসেলের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছিল। তাই প্রতিপক্ষের মাঠে কাজটা ছিল বেজায় কঠিন। আর কঠিন কাজটা অনায়াসেই করেছে তারা। জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। তাতে এবার ইউরোপের তিনটি প্রতিযোগিতাতেই ফাইনালে নিজেদের প্রতিনিধি পেল ইতালি।
তবে এবার ইউরোপের তিনটি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেও এর আগে তিনটি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় শিরোপা জয়ের নজির রয়েছে ইতালিয়ান ক্লাবের। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে ইউরোপিয়ান
কাপে (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ) এসি মিলান, উয়েফা কাপে (বর্তমান ইউরোপা লিগ) জুভেন্তাস এবং উইনার্স কাপে জিতেছিল সাম্পাদোরিয়া।
আগামী ১০ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির মোকাবেলা করবে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। এর আগে ১ জুন ইউরোপা লিগে এই আসরের সবচেয়ে সফল দল ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার মুখোমুখি হবে রোমা। আর ৮ জুন কনফারেন্স লিগের ফাইনালে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহ্যামের মুখোমুখি হবে ফিউরেন্টিনা।
Comments