ইউনাইটেডকে হারিয়ে এফএ কাপ চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটি
এফএ কাপের ১৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ম্যানচেস্টার ডার্বি। স্বাভাবিকভাবে ছিল আলাদা উত্তেজনা, আলাদা রোমাঞ্চ। আর সে লড়াইয়ে জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই অর্ধের শুরুতে করা দুটি দুর্দান্ত গোলে জয়ের নায়ক অধিনায়ক ইকাই গুন্দোগান। তাতে স্বপ্নের ট্রেবল জয়ের পথে আরও এগিয়ে গেল সিটিজেনরা।
শনিবার লন্ডনের ওয়েম্বলিতে এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই আসরে এটা তাদের সপ্তম শিরোপা। সবশেষ ২০২১ সালে এফএ কাপ জিতেছিল তারা।
এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে সিটি। ফলে আসরে এরমধ্যেই দুটি শিরোপার স্বাদ পেয়েছে তারা। অপেক্ষায় আছে ট্রেবলের। আগামী শনিবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানের মুখোমুখি দলটি। ইংলিশ ক্লাবের ইতিহাসে মাত্র একবারই ট্রেবল জয় ঘটনা রয়েছে। ১৯৯৮/৯৯ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিল ইউনাইটেড।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় সিটি। গোলরক্ষক স্টিফেন ওর্তেগার উড়িয়ে মারা বলে লাফিয়ে হেড নিয়ে ডি ব্রুইনাকে পাস দেন হালান্ড। আরও একটি হেডে গুন্দোগানের উদ্দেশ্যে বল বাড়ান এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন সিটি অধিনায়ক। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না ইউনাইটেড গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়ার।
১৩ সেকেন্ডের এই গোলে এফএ কাপে দ্রুততম গোলের নতুন এক রেকর্ড গড়েন গুন্দোগান। ভেঙে ফেলেন লুইস সাহার ১৪ বছরের রেকর্ড। ২০০৯ সালে এভারটনের বিপক্ষে চেলসির হয়ে সেই গোলটি করেছিলেন সাহা।
আচমকা গোল হজমের পর ধীরে ধীরে ম্যাচ গুছিয়ে নেয় ইউনাইটেড। ৩৩তম মিনিটে সমতায় ফেরে দলটি। তবে বিতর্কিত এক পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ডি-বক্সের মধ্যে অ্যারন ভ্যান বিশাখার হেড জ্যাক গ্রিলিশের হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। প্রথমবারের মতো এফএ কাপের ফাইনালের প্রথমার্ধেই লক্ষ্যভেদ করেন দুই দলের অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্ধের ছয় মিনিট না যেতেই যেন প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তি। ডি ব্রুইনার অ্যাসিস্ট থেকে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন গুন্দোগান। ডান প্রান্ত থেকে ডি ব্রুইনার ফ্রিকিক থেকে বল থেকে আরও একটি দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে পাঠান জার্মান অধিনায়ক। তবে এবার তার ভলি ছিল গড়ানো। দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে জালে প্রবেশ করে। দি হেয়া অবশ্য ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। হাতে লাগলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
৭১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন গুন্দোগান। বল জালে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তবে অফসাইডে থাকায় মিলেনি গোল। শেষ দিকে অবশ্য সমতায় ফিরতে বেশ চাপ সৃষ্টি করেছিল ইউনাইটেড। একবার তো গোললাইন থেকে রক্ষা করেন সিটির এক ডিফেন্ডার। ফলে দারুণ এক জয় মিলে সিটির।
Comments