বার্সেলোনায় ফিরছেন নেইমার!
বার্সেলোনা ছাড়ার পরের ট্রান্সফার উইন্ডো থেকেই শুরু, প্রায় প্রতিটি গ্রীষ্মে কাতালান ক্লাবটিতে ফেরার গুঞ্জন ওঠে নেইমারের। সে ধারায় এবারও গুঞ্জন উঠেছে জোরেশোরে। আজ আবারও কাতার থেকে পাওয়া তথ্য নিশ্চিত করেছে আগামী মৌসুমে কাতালান ক্লাবের হয়ে খেলবেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
সংবাদ অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে পিএসজিতেই চালিয়ে যাবেন নেইমার। প্যারিসের ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি ২০২৫ সাল পর্যন্ত। তবে এ মৌসুমেও তাকে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে ক্লাবটির। যদি ভালো কোনো প্রস্তাব পায় তাহলে তাকে ছেড়ে দিতে আপত্তি নেই পিএসজির।
নেইমারের বার্সা ফেরার সংবাদটি কাতারে জানিয়েছেন কাতারি শেখ মাবখৌত আল-মারি, যিনি একজন প্রভাবশালী ও বহুমুখী সাংবাদিক। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিতে চলে যাওয়ার সংবাদ সামাজিকমাধ্যমে তিনিই প্রথম জানিয়েছিলেন। বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সঙ্গে তার সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ এবং পিএসজির পরিবেশের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। যে কারণে এই সংবাদ বিশ্বাসযোগ্যতা দিচ্ছে।
বার্সেলোনার সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদের উপর ভিত্তি করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দিপোর্তিভো জানিয়েছে, নেইমারকে ফেরানোর প্রস্তাব আগেই পেয়েছিল বার্সা। তখন কোচ জাভি হার্নান্দেজের নেতৃত্বে থাকা বার্সার কারিগরি কর্মীরা এই ব্রাজিলিয়ানকে ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে ছিলেন।
নেইমারের মান নিয়ে সন্দেহ করেন না বার্সা কোচ এবং তার সহযোগীরা। জাভি নিজেও নেইমারের সতীর্থ ছিলেন। মাঠের তার দক্ষতা সম্পর্কে ভালো করেই জানেন। তবে বর্তমানে বার্সা ড্রেসিংরুমে বিদ্যমান পরিবেশকে বিকৃত না করতেই এমন সিদ্ধান্ত। শৃঙ্খলা জনিত সমস্যার কারণে নানা সময়ে শাস্তি পাওয়া নেইমারকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে নিতে রাজী নয় তারা।
তবে তখনকার পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে চলে গিয়েছেন উসমান দেম্বেলে। যে কারণে একজন উইঙ্গারের ঘাটতি রয়েছে তাদের দলে। আর নেইমারের বার্সায় ফিরতে চাওয়ার কথা গোপন কিছু নয়। তারপরও তাকে ফেরানোর বিষয়টি বেশ জটিলই। এরমধ্যে বড় একটি বিষয় নির্ভর করবে নিজের বেতন কমাতে চান কি-না নেইমার। আর কমালেও সেটা কি পরিমাণে। একই সঙ্গে সাবেক সতীর্থের পেশাদারিত্বে কতোটুকু বিশ্বাস করেন জাভি।
এদিকে শনিবার বিকেলে নেইমার তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে মুছে দিয়েছেন যে তিনি একজন পিএসজি খেলোয়াড় তা মুঝে দিয়েছেন। যে কারণে গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। সামাজিকমাধ্যমগুলোতে খুব সক্রিয় থাকা একজন খেলোয়াড়ের জন্য বিষয়টি বেশ অদ্ভুতই। আর ট্রান্সফার মার্কেট শেষ হতে অনেক সময়ই বাকি আছে। সেখানে যে কোনো পরিবর্তন কিংবা চমক আসতেই পারে।
Comments