ঘুরে দাঁড়িয়ে ১০ জনের দল নিয়েও জিতল লিভারপুল

লুইস দিয়াজ, মোহামেদ সালাহ ও দিয়োগো জোতা নিজেদের মেলে ধরলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্লাবটি।
ছবি: রয়টার্স

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতেছে লিভারপুল। সেখানে মূল অবদান রাখেন তাদের ফরোয়ার্ডরা। অথচ ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোল হজম করে বসেছিল তারা। এরপর ৫৮তম মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্তার সরাসরি লাল কার্ড দেখায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় অলরেডরা। তবে লুইস দিয়াজ, মোহামেদ সালাহ ও দিয়োগো জোতা নিজেদের মেলে ধরলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্লাবটি।

শনিবার রাতে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে ৩-১ গোলে বোর্নমাউথকে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। গত মৌসুমে এই ভেন্যুতে দুই দলের আগের দেখায় ৯-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছিল লিভারপুল। চলতি লিগে স্বাগতিকদের এটি প্রথম জয়। আগের ম্যাচে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। ফলে দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৪।

ম্যাচে বল দখল ও আক্রমণে স্পষ্ট দাপট ছিল লিভারপুলের। ৬৫ শতাংশ সময়ে বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে তারা। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ২৬টি শট নেয় দলটি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ১০টি।

খেলার শুরুটা ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। জেইডন অ্যান্থনি প্রথম মিনিটেই লিভারপুলের জালে বল পাঠান। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়। সেই স্বস্তি উবে যেতে সময় লাগেনি ক্লপবাহিনীর জন্য। তৃতীয় মিনিটে আন্তোইন সেমেনিও এগিয়ে দেন বোর্নমাউথকে। এই গোলে দায় আছে ইংলিশ ডিফেন্ডার ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের। তার ভুলের কারণেই মূলত পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল।

তিন মিনিট পর লড়াইয়ে আসতে পারত সমতা। তবে বিধি বাম। ডাচ ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ১৩তম মিনিটে অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডকে আগের সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে দেননি নেতো। কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে শট ঠেকিয়ে সফরকারীদের গোলরক্ষক অক্ষত রাখেন জাল।

পিছিয়ে পড়েও দমে না যাওয়া লিভারপুল একটানা আক্রমণের সফলতা পায় ২৭তম মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে জোতার পাস আরেকজনের গায়ে লেগে পৌঁছায় দিয়াজের কাছে। এরপর ফ্লিক করে জায়গা বানিয়ে কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দিয়াজ। আট মিনিট পর পেনাল্টি পায় লিভারপুল। বোর্নমাউথের ডি-বক্সে দমিনিক সোবোসলাই ফাউলের শিকার হলে রেফারি বাজান স্পট-কিকের বাঁশি। সালাহর নেওয়া শট বামদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি নেতো। আলগা বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ফলে ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যায় লিভারপুল।

প্রথমার্ধের শেষদিকে অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ইব্রাহিমা কোনাতেও পারেননি হেড থেকে জাল খুঁজে নিতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও একই রকমের আক্রমণাত্মক ধারায় খেলতে থাকা লিভারপুল ধাক্কা খায় আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক আলিস্তারের লাল কার্ডে। তবে চাপ জেঁকে বসার আগেই ব্যবধান বাড়ান পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোতা। সোবোসলাইয়ের দূরপাল্লার শট নেতো ঠেকানোর পর বল পেয়ে যান জোতা। এরপর বল পাঠিয়ে দেন জালে।

একজন বেশি নিয়ে আধা ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বোর্নমাউথ শেষদিকে নড়েচড়ে ওঠে। তাদের বদলি খেলোয়াড়রা লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসনের পরীক্ষা নিলেও গোল করতে পারেনি।

Comments