পুলিশের লাঠিচার্জ দেখে দল নিয়ে বেরিয়ে যান মেসি

Lionel Messi

খেলা শুরুর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার পর তৈরি হয় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি। জাতীয় সঙ্গীতের সময় গ্যালারিতে গোলমাল বাঁধে দুই দেশের সমর্থকদের মাঝে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করলে তৈরি হয় আরও দৃষ্টিকটু দৃশ্য। এই অবস্থায় মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যায় আর্জেন্টিনা দল। তাদের অধিনায়ক লিওনেল মেসি ম্যাচ শেষে ব্যাখ্যা করেন, কেন তারা ওভাবে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় শুরুর কথা ছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লড়াই। কিন্তু খেলা শুরু হয় আধঘণ্টা পর।

সমর্থকদের মারামারির পর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আর্জেন্টিনার মেসি, ব্রাজিলের মার্কিনহোসরা এগিয়ে যান তা থামাতে। এক পর্যায়ে, কিক-অফের বাঁশি বাঁজার আগেই ড্রেসিং রুমে ঠাঁই নেয় বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল দল অবশ্য মাঠেই অপেক্ষা করেছে।

ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারানোর পর আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি জানান, ওই পরিস্থিতিতে খেলার কথা ভাবতে পারেননি তারা, 'অবশ্যই এটা খুব বাজে ছিল। আমরা দেখছিলাম কীভাবে তারা (পুলিশ) মানুষকে পেটাচ্ছে। কোপা লিবার্তোদোরেসের (দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ ক্লাব আসর) ফাইনালেও এমন লাঠিপেটা হয়েছে।'

৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড যোগ করেন, 'আপনি নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করুন। ওখানে যারা ছিল, তাদের মধ্যে খেলোয়াড়দের পরিবারও ছিল। তখন খেলার চেয়ে অন্য কিছু চিন্তার গুরুত্ব ছিল।'

পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে আসলে ২৫ মিনিট পর মাঠে ফেরেন মেসিরা। মাঠেও অবশ্য ছড়ায় উত্তেজনা। দুই দলের খেলোয়াড়রা বারবার জড়ান বিবাদে, অনেকগুলো ফাউলও হয়। ম্যাচে স্বাগতিক ব্রাজিলকে দ্বিতীয়ার্ধের গোলে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হারানোয় সবচেয়ে তৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন মেসি, 'সব কিছুর পর এই ম্যাচ জেতাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর একটি।'

বিশ্বকাপজয়ী তারকা আরও বলেন, 'এটা খুবই ভালো ব্যাপার যে ব্রাজিলের মাঠে জেতা গেছে। কারণ ঐতিহাসিকভাবে তারা তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী।'

Comments

The Daily Star  | English

India, Pakistan agree ceasefire: Trump

US President Donald Trump on Saturday said that India and Pakistan have agreed to a "full and immediate ceasefire," amid both countries launching strikes and counter-strikes against each other's military installations

9m ago