নেইমারের সঙ্গে আমার কোনো সমস্যা নেই: দরিভাল
নেইমারের ক্যারিয়ারের শুরুর সময়ে সান্তোসের কোচ ছিলেন দরিভাল জুনিয়র। তখন নেইমারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে চাকরিও হারিয়েছিলেন তিনি। সেই দরিভাল এখন ব্রাজিলের প্রধান কোচ। দায়িত্ব নিয়ে অবশ্য বললেন, নেইমারের সঙ্গে তার আর কোন সমস্যা নেই। চোটে থাকা ব্রাজিলের সেরা এই তারকাকে ছাড়া দলকে এগুতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
শুক্রবার দরিভালকে নতুন কোচ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। এরপর তিনি জানান দলকে নিয়ে তার ভাবনার কথা। প্রসঙ্গক্রমেই উঠে আসে নেইমারের কথা।
২০১০ সালে দভিভালের কোচিংয়ে খেলতেন ১৮ বছরের নেইমার। তখন আটল্যাটিকো গোইয়ানিয়েন্সের বিপক্ষে এক ম্যাচে পেনাল্টি পাওয়ার পর তা নেইমার নিতে গেলে তাকে সুযোগ দেননি দরিভাল। কোচের সঙ্গে মাঠেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন নেইমার।
তখনকার গণমাধ্যমের খবর এতে করে নেইমারকে জরিমানা ও পরের ম্যাচে বাদ দিয়েছিলেন তিনি। ক্লাব হস্তক্ষেপ করার পরও সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় দরিভালকেও বরখাস্ত করে সান্তোস।
১৪ বছর আগে ঘটনা আবার তুলে ধরা হলে দরিভাল জানান, বড় এই তারকার সঙ্গে তার আর বিরোধ নেই, 'নেইমারের সঙ্গে এখন আমার কোন সমস্যা নেই।'
সেই ঘটনা মনে করিয়ে বলেন, 'ওটা প্রত্যাশার বাইরে হয়েছিলো। সান্তোস বোর্ড একটা সিদ্ধান্ত নেয় (তাকে বরখাস্ত করা)। আমি সেই সিদ্ধান্ত সম্মান করেছি। এরপর তার সঙ্গে যতবারই দেখা হয়েছে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।'
ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় তারকা এই মুহূর্তে আছেন ইনজুরিতে। আল-হিলাল ফরোয়ার্ড কবে খেলায় ফিরবেন এখনো পরিষ্কার নয়। তবে নেইমার না থাকলেও ব্রাজিল যেন এগিয়ে যেতে সমস্যায় না পড়ে সেই বার্তা জোরালোভাবে দিয়েছেন তিনি, 'নেইমারকে ছাড়া কীভাবে এগুতে হয় ব্রাজিলকে তা শিখতে হবে। বুঝতে হবে সে চোটে। বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন সে, সে আমাদের দলে। তাকে সেরা উঠার সুযোগ দিতে হবে।'
নেইমার সুস্থ হলেই যে তাকে দ্রুত দলে নেবেন সেই কথাও জানান ৬১ বছর বয়েসী কোচ, 'যসে যতদিন লক্ষ্যে অটুট থাকবে, সুস্থ থাকবে তাকে দলে ডাকব।'
গত বিশ্বকাপে তিতের অধীনে ভরাডুবি হয় ব্রাজিলের। তিতেকে সরিয়ে বিশ্বকাপের পর অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেয়া হয় ফার্নান্দো দিনিজ। তার অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দলের বাজে পারফরম্যান্স চিন্তায় ফেলে ব্রাজিলের ফুটবল কর্তাদের। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে না পাওয়ায় পরে দরিভাল জুনিয়রকেই বেছে নেয় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
Comments