এশিয়ান কাপ থেকে বাদ পড়ায় ক্ষমা চাইলেন সন

শক্তি ও সামর্থ্যে জর্ডানের তুলনায় বেশ এগিয়ে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু বিস্ময়করভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দলটির কাছে হেরে যায় তারা। অপ্রত্যাশিত এই হারের পর সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন 'বিধ্বস্ত' অধিনায়ক সন হিউং-মিন।

মঙ্গলবার কাতারের আল রাইয়ানে এশিয়ান কাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে জর্ডান। এর আগে ফাইনাল দূরের কথা, কখনোই সেমি-ফাইনালও খেলতে পারেনি দলটি। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়েও কোরিয়ার চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে ছিল তারা। তাদের অবস্থান ৮৭ নম্বরে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আগে জয়ের নজিরও ছিল না। অন্যদিকে কোরিয়ার অবস্থান ২৩ নম্বরে।

সেমি-ফাইনালে তাদের দল নার্ভাস ছিল জানিয়ে বিইন স্পোর্টসকে অধিনায়ক সন বলেছেন, 'খুবই হতাশাজনক, এমন ফলাফলে আমরা বিধ্বস্ত। এই টুর্নামেন্টে জর্ডান একটি আশ্চর্যজনক যাত্রা করছে। তারাই এর যোগ্য, তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। আমাদের জন্য এটা খুব হতাশাজনক একটি রাত ছিল।'

তবে এবার নকআউট পর্বের আগের দুই ম্যাচেও নির্ধারিত সময়ে বাদ পড়ার অবস্থানেই ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করে দুই ম্যাচেই টিকে যায় তারা। কিন্তু এদিন দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা দলটি আর শেষ দিকে কোনো চমক দেখাতে পারেনি।

মূলত জর্ডানের মুসা আল-তামারির কাছে হেরে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। সতীর্থকে দিয়ে দলের প্রথম গোলটি করানোর পর নিজে করেন দুর্দান্ত এক গোল। অথচ ম্যাচের মাত্র ৩০ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল তাদের। কিন্তু আক্রমণভাগে ছড়ি ঘুরিয়েছে তারাই। ১৭টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে তারা। আর ৮টি শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি সন হিউং-মিনের দল।

তবে এই ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে এগিয়ে যেতে হবে বলে জানান সন, 'আমাদের সামনে তাকাতে হবে, আফসোসের সময় নেই। এখন আমাকে আমার ক্লাবে ফিরে যেতে হবে এবং বাকি মৌসুমের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।'

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার্স তারকা আরও বলেছেন, 'আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে আমরা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমি একজন খেলোয়াড় হিসেবে আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করব এবং আমাদের জাতীয় দলকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করব।'

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

16h ago