ব্রাজিলে ৯ বছর জেলে থাকতে হবে রবিনহোকে
ইতালি থেকে পালিয়ে বেঁচেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হলো না ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবিনহোর। ব্রাজিলেই কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে। বুধবার ইতালিয়ান আদালতের দেওয়া নয় বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন ব্রাজিলের বিচারকরা।
ঘটনাটি ২০১৩ সালের। এসি মিলান ক্লাবে থাকাকালীন সময়ে ইতালির উত্তরাঞ্চলের শহর মিলানের একটি নাইট ক্লাবে ২৩তম জন্মদিন পালন করছিলেন আলবেনীয় বংশোদ্ভূত এক নারী। সেখানেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাতে জড়িত ছিলেন রবিনহো ও তার বন্ধু রিকার্ডো ফ্যালকো। তারা সহ মোট ছয়জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে ২০১৭ সালে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৯ বছরের জেল দেওয়া হয় রবিনহোকে। তখন জেলের শাস্তি এড়াতে ইতালিতে গিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এরপর ২০২০ সালে ব্রাজিলে থেকেই আপিল করেন এই ব্রাজিলিয়ান। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। এবার লাভ হলো না নিজ দেশেও।
পরে ইতালিয়ান প্রসিকিউটররা রবিনহোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তবে ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষের অনুরোধে রবিনহোর শাস্তি যেন দেশেই কার্যকর করা হয় সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অফ জাস্টিসও জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন রবিনহোকে।
তবে ইতালি থেকে ব্রাজিলে পালিয়ে স্বস্তিতে ছিলেন না রবিনহো। তখন শাস্তি এড়িয়ে ব্রাজিলের ফুটবলে যোগ দিলেও খুব বেশি দিন ঠাঁই হয়নি। শুরুতে চুক্তি করলেও তিন মাসের মধ্যেই তার সঙ্গে করা সব চুক্তিই বাতিল করে সান্তোস। ধর্ষণের অপরাধে যুক্তি থাকা খেলোয়াড়কে রাখতে চায়নি ক্লাবটি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল রবিনহোর বিরুদ্ধে। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলার সময় লিডসের একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে জামিনে মুক্ত হন। গুঞ্জন রয়েছে সে নারীর সঙ্গে পরে আপোষ করে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সেবার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন এ ব্রাজিলিয়ান।
Comments