বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিল ফিলিস্তিন

ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিট জমিয়ে লড়াই করে বাংলাদেশ। এরপর রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে বসে তারা। আর তাতেই যেন আত্মবিশ্বাস হারিয়ে বসে দলটি। এরপর একের পর এক ভুলে ১০ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানেই হারে জামাল ভুঁইয়ার দল।

বৃহস্পতিবার কুয়েতের জাবের আল-আহমেদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর বাছাই পর্বের ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ৫-০ গোলের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন ওদয় দাবাঘ। দুটি গোল করেন শিহাব কুম্বর।

এবারই প্রথম ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুই গোলের বেশি ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। এর আগের ছয় ম্যাচের প্রথমটিতে ড্র করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের পর বাকি পাঁচ ম্যাচের হারের ব্যবধানে দুই গোলের সীমানা পেরিয়ে যায়নি। এবার তো একেবারে পাঁচ গোল হজম করল দলটি।

এদিন বাংলাদেশের প্রথম সারির বেশ কিছু খেলোয়াড়কেই মিস করে বাংলাদেশ। বিশেষকরে তারিক কাজীর অভাব হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে তারা। আক্রমণভাগেও 'ওয়ান্ডার বয়' শেখ মোরসালিনকে মিস করেছে দলটি। 

তবে এদিন ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল বাংলাদেশই। সপ্তম মিনিটে ক্রসটা রাকিব হোসেন ঠিক মতো দিতে পারলেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। নবম মিনিটে পিছিয়ে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে যান দাবাঘ। কিন্তু তার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

১৯তম মিনিটে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি নষ্ট করেন দাবাঘ। অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে সতীর্থের থ্রু বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আগুয়ান গোলরক্ষক মিতুল মার্মার মাথার উপর দিয়ে লক্ষ্যভেদ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। 

গোল করার ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশও। ২৭তম মিনিটে ফাহিমের ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে যান সোহেল রানা। কিন্তু অবিশ্বাস্য ভাবে আকাশে উড়িয়ে মেরে নষ্ট করেন সেই সুযোগ। ৩২তম মিনিটে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন মিতুল মার্মা। দাবাঘের শট দুর্দান্ত দক্ষতায় আটকে দেন এই গোলরক্ষক। 

৪২তম মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে বাংলাদেশ। তবে এবারও দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক। মাহমুদ আবুওয়ার্দার ঠেকিয়ে দেন মিতুল। কিন্তু রিরাউন্ডে ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠান দাবাঘ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। কর্নার থেকে সোহেল রানার পায়ে লেগে চলে যায় শিহাব কুম্বরের পায়ে। তার শট জাল খুঁজে নেয়।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফিলিস্তিন। শর্ট কর্নার থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন কুম্বর। পাঁচ মিনিট পর মাহ মুদ ঈদের ক্রস থেকে দারুণ এক ভলিতে নিজেদের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন দাবাঘ।

চার গোলে এগিয়েও একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে ফিলিস্তিন। ৭০তম মিনিটে ভাগ্য সঙ্গে থাকায় পঞ্চম গোল হজম করেনি বাংলাদেশ। পরের মিনিটে ঝাঁপিয়ে সেভ করে বাংলাদেশ রক্ষা করেন মিতুল। তবে ৭৬তম মিনিটে দুই দফা চেষ্টা করেও পারেননি। হ্যাটট্রিক পূরণ করেন দাবাঘ। নিজেদের অর্ধ থেকে পাওয়া থ্রু বল ধরে যে শট নেন এই ফরোয়ার্ড তা ঠেকান মিতুল। তার ফিরতি শটও ঠেকান। কিন্তু তৃতীয় দফায় আর পারেননি।

৮৬তম মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে সান্ত্বনাটা পেতে পারতো বাংলাদেশ। এরপর ম্যাচের শেষ দিকেও একটি সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। তবে কোনো লাভ হয়নি। ভালো কিছু সুযোগ পেলেও জালে আর বল জড়াতে পারেনি ফিলিস্তিন। তবে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Delhi Capitals sign Mustafizur for 6cr rupees

Bangladesh left-arm pacer, who went unsold in the IPL auction earlier this year, finds himself back in the league following unforeseen changes in team compositions due to the ongoing India-Pakistan conflict.

25m ago