'টপ প্লেয়ার' পালমারের রেকর্ড গোল

সময়ের হিসেবে তখন ১০০ মিনিট পেরিয়ে গেছে। সেই সময় দুর্দান্ত এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। এর মিনিট দুই আগেও গোল করে দলকে সমতায় ফেরান এই তরুণ। তাতে নাটকীয় এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চেলসি। দুই মিনিটের ঝড়ে জোড়া গোল করা পালমারকে তাই 'টপ প্লেয়ারের; তকমা দিয়েছেন চেলসির আর্জেন্টাইন কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনো।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বৃহস্পতিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে চেলসি। নাটকীয় এই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন পালমার। যার শেষ গোলটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে দেরিতে করা জয় সূচক গোল। ১০০ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের আগে কেউ ম্যাচ জেতানো গোল করতে পারেননি। তবে এর পরে সমতাসূচক গোল রয়েছে দুইটি।
অথচ ম্যাচে এদিন স্মরণীয় জয়ের অপেক্ষাতে ছিল ইউনাইটেড। ২০ মিনিটের মধ্যে কনর গ্যালাগার ও পালমারের গোলে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পরে তারা। সেখান থেকে আলেহান্দ্রো গার্নাচো করেন জোড়া গোল ও ব্রুনো ফার্নান্দেসের একটি গোলে উল্টো ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রেড ডেভিলরা। কিন্তু শেষের কয়েক মিনিটে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। দুই মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল করে জয় ছিনিয়ে নেন পালমার।
ম্যাচ শেষে এই তরুণের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে পচেত্তিনো বলেছেন, 'ওর প্রভাবটা আশ্চর্যজনক। চমৎকার খেলেছে। ওর সম্পর্কে বেশি কিছু বলা কঠিন। ও আজ ওর মানসিকতা ও মান দেখিয়েছে। ওর সেরা দক্ষতাগুলোর মধ্যে একটি হল ওর মানসিকতা এবং চাপ মোকাবেলা করার ক্ষমতা।'
'ও তরুণ এবং আমি মনে করি এটাই ওর প্রথম মৌসুম যেখানে ও খুব ধারাবাহিকভাবে খেলছে। আমি মনে করি যে ও যেভাবে চাপ মোকাবেলা করছে তা বিস্ময়কর। এটাই একজনকে খুব ভালো খেলোয়াড়ে পরিণত করতে পারে। আজকের পারফরম্যান্সের পর এটা বলা অসম্ভব যে ও একজন টপ প্লেয়ার নয়।'
শেষ মুহূর্তে নাটকীয় জয় পেয়েও যোগ্য হিসেবেই পেয়েছেন দাবি করে এই কোচ আরও বলেন, 'আমাদের হেরে যাওয়া অন্যায্য হতো। আমরা কেন ম্যাচ হারব? ফুটবল আসলে এমনই। সব সময় বিশ্বাস রাখতে হয়। আমি খেলোয়াড়দের বলছিলাম আর দুই মিনিট, দুই মিনিট। আমাদের বিশ্বাস ছিল জয়ের গোলটি করতে পারব। ওপরের দিকের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে জয়টা আমাদের অবশ্যই পেতে হতো।'
Comments