রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য: আনচেলত্তি

ছবি: এএফপি

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সমান শিরোপা তো দূরের কথা কাছাকাছিও নেই কেউ। সেখানে কি-না এখন পর্যন্ত কখনোই ম্যানচেস্টার সিটির মাঠ ইতিহাদে জিততে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। তবে এই পরিসংখ্যান বদলে দিতে দারুণ আত্মবিশ্বাসী রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

ইতিহাদে আজ রাত বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে রিয়াল। ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে ৩-৩ গোলে ড্র হয় দুই দলের লড়াই। সেমির টিকেট পেতে হলে এবার নতুন পরিসংখ্যান বদলে দিতেই হবে স্প্যানিশ ক্লাবটির।

তাই ম্যাচের আগে বারবারই উঠে আসছে ইতিহাদে রিয়ালের পরিসংখ্যান। কিন্তু এ নিয়ে ভাবছেন না কোচ আনচেলত্তি, 'প্রত্যেকে তাদের ইচ্ছামত পরিসংখ্যান দেখতে পারে। আমি সবসময় বলি যে রেকর্ড তৈরি করা হয় ভাঙার জন্য এবং এমন অনেক ম্যাচ রয়েছে যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ কখনোই জিততে পারেনি এবং তারপর জিততে পেরেছিল।'

'ইউরোপে অনেক দল আছে যারা সত্যিই শক্তিশালী এবং এই প্রতিযোগিতা জিততে লড়াই করতে পারে। আমরা গত তিন বছরে একে অপরের সঙ্গে খেলছি এবং সবসময়ই দর্শনীয় ম্যাচ হয়েছে। আমি মনে করি এটা আগামীকালও (আজ) একই হবে,' যোগ করেন এই কোচ।

ইউরোপের শীর্ষ এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে রিয়াল ও সিটি। যেখানে ৪টি জয় ইংলিশ দলটির। তিনবার জিতেছে রিয়াল। অপর চারটি ড্র। তবে যে চারবার রিয়াল জিতেছে তার প্রত্যেকটিই নিজেদের মাঠে। ইতিহাদে জয় অধরাই রয়ে গেছে রিয়ালের।

তবে অতীত নিয়ে ভাবছেন না রিয়াল কোচ, 'আমাদের অতীতের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না, আমাদের আগামীকালের ম্যাচ দেখতে হবে এবং এক সপ্তাহ আগে যা ঘটেছে তা বিবেচনায় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। ফলাফল এখন সমান সমান, আরো ৯০ মিনিট আছে এবং যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে যে সমস্যা তৈরি করার মতো গুণ রয়েছে।'

মাঠ কিংবা পরিসংখ্যান নয়, দিন শেষে ম্যাচটা ফুটবলারদের উপরই নির্ভর করবে জানিয়ে আনচেলত্তি বলেন, 'ফুটবল সবসময়ই ফুটবলারদের। আমি অনেকবার বলেছি এবং আগামীকালও একই রকম হবে। আমি বুঝতে পেরেছি যে প্রথম লেগে কী ঘটেছে, এটি একটি খুব বিনোদনমূলক খেলা এবং আমি মনে করি খেলোয়াড়রা বরাবরের মতোই প্রধান চরিত্র হবে। এছাড়াও, এটি এমন একটি ম্যাচ যেখানে মাঠে অনেক গুণমান থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago