এমন হোঁচটের কোনো উত্তর জানা নেই গুন্দোগানের

ইকাই গুন্দোগান যখন মাঠে ছাড়েন তখন ম্যানচেস্টার সিটি তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে। খেলা বাকি ২২ মিনিটের মতো। টানা পাঁচ হারের পর একটি জয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ভেবেই নিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর নাটকীয় মোড়। উল্টো তিনটি গোল হজম করে ম্যাচই জিততে পারলো না দলটি। এমন হোঁচটের তাই কোনো উত্তরই দিতে পারলেন না গুন্দোগান।

মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছেন ফেইনুর্ড। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ ম্যাচে জয়হীন রইল সিটি। আগের পাঁচটি ম্যাচ তো তারা হেরেই গিয়েছে। কিন্তু ১৪ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি গোল হজম করে এদিন জয় হাতছাড়া সিটিজেনরা।

ম্যাচ শেষে তাই স্বাভাবিকভাবেই কারণ জানতে চাওয়া হয় গুন্দোগানের কাছে। কিন্তু কোনো উত্তরই দিতে পারেননি এই জার্মান মিডফিল্ডার। অসহায়ভাবেই বললেন, 'ম্যাচে পরে এত তাড়াতাড়ি আমার কাছে কোনো উত্তর নেই।'

এরপর গোল হজমের চিত্র বর্ণনা করতে গিয়ে বললেন, 'আমরা যে গোলগুলো খেয়েছি তা বর্ণনাতীত, যেভাবে আমরা সেগুলো হজম করেছি। এখানে শুধু নিজেদেরই দোষারোপ করা যায়। পরিস্থিতি, আমি জানি না, এখন যেভাবে চলছে, তা কিছুটা ব্যাখ্যাতীত।'

অথচ এদিন শুরুটা ভালোভাবেই করেছিল সিটি। মাঝমাঠের দখল ধরে রেখে আক্রমণে আধিপত্য ছিল তাদেরই। ৪৪তম মিনিটে আর্লিং হালান্ডের সফল স্পটকিকে গোলও আদায় করে নেয় দলটি। এরপর গুন্দোগান ব্যবধান বাড়ান দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিট যেতেই। পরে আরও একটি গোল করেন হালান্ড। শেষ দিকে খেই হারিয়ে বসে দলটি।

কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারলেন কোচ পেপ গার্দিওলাও, 'আমি জানি না এটা মানসিক ব্যাপার কিনা। ম্যাচটি ৩-০ পর্যন্ত ঠিক ছিল। দল ভালো খেলছিল, কিন্তু এরপর আমরা অনেকগুলো গোল হজম করি কারণ আমরা স্থিতিশীল ছিলাম না। আমরা তাদের প্রথমে একটা গোল উপহার দেই এবং এরপরে আরেকটি, তাই এটি কঠিন হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি এমনই। আমরা ভালো খেলেছি কিন্তু এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দিতে পারি না।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

5h ago