বার্সেলোনার মাঠে জিততে না পারার আক্ষেপ সিমেওনের

কোচ হিসেবে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ডেরায় আছেন দিয়াগো সিমেওনে। এ সময় ১৭ বার বার্সেলোনার ঘরে নিজ দলকে নিয়ে গিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ। কিন্তু বার্সার মাঠে এখনও জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। অথচ এ সময়ে দুইবার লা লিগার শিরোপার স্বাদও পেয়েছেন এই কোচ।

প্রায় এক লক্ষ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে ন্যু ক্যাম্প বরাবরই বার্সেলোনার শক্তির জায়গা। কিন্তু গত বছর থেকে সেখানে সংস্কার কাজ চলায় বর্তমানে কাতালানরা নিজের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করছে অলিম্পিক স্টেডিয়াম। কিন্তু সেখানেও গত বছর হেরেছে অ্যাতলেতিকো। আজ শনিবার রাতেও ফের এই মাঠে খেলবে দলটি। এবার দীর্ঘ সেই খরা কাটাতে মরিয়া সিমেওনে।

২০০৬ সাল থেকে বার্সেলোনার মাঠে জিততে পারেনি অ্যাতলেতিকো। ২০২২ সালে সিমেওনে দায়িত্বে আসার পর ২০১৩-১৪ মৌসুমের ন্যু ক্যাম্পে লিগ শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে তার দল। কিন্তু বার্সার মাঠে জয় মিলেনি তাদের। সেই স্মৃতি মনে করে আক্ষেপই যেন এই কোচের কণ্ঠে, 'আমার জীবনে সেখানে (বার্সেলোনার মাঠে) জিততে পারিনি। আমি সব জায়গায় জিতেছি এবং সেখানে লিগ জিতেছি।'

দারুণ ছন্দে থাকা অ্যাতলেতিকো এবার অধরা জয় তুলে নিতে চায়। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ১১ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতেছে তারা। দলীয় ঐক্যেই এমন পারফরম্যান্স বলে মনে করেন সিমেওনে, 'মাস দেড়েক ধরে আমরা যা বলছি, আমাদের দলটি একটি গ্রুপ হিসেবে দারুণ কাজ করছে, প্রতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এবং উন্নতি করার সুযোগ খুঁজছে।'

তবে বার্সার বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না বলে মনে করে এই কোচ, 'আমরা এমন একটি দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, যারা খুব ভালো খেলে, তরুণদের নিয়ে গড়া তাদের মাঝমাঠ ভালো লাগে আমার। রাফিনিয়া তার সাহস এবং খেলার ধরনের জন্য লিগের সেরাদের একজন হয়ে উঠছে। এমন একটি ম্যাচের জন্য আমাদের প্রাণশক্তি আছে, অবশ্যই বিনোদনদায়ী ম্যাচ হবে।'

এছাড়া অ্যাতলেতিকোর জন্য ম্যাচটি লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে এককভাবে শীর্ষে উঠে যাওয়ার মিশনও। ১৭ ম্যাচ শেষে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দলটি। সমান পয়েন্ট হলেও এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সেলোনা শীর্ষে আছে গোল ব্যবধানে। এই ম্যাচ জিতলে শীর্ষে ওঠার স্বাদ পাবে সিমেওনের শিষ্যরা।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Smaller Asian nations, including Bangladesh, have been hit with some of the most punitive duties under the Trump administration’s tariff policy. The official justification for these tariffs was to correct what the administration called unfair trade deficits, where countries export more to the United States than they import.

9h ago