'ফেয়ার প্লে'র জালে আটকা ফ্লিকের খেলোয়াড় কেনার স্বপ্ন

লা লিগায় উড়ন্ত সূচনার পরও অবস্থা ভালো নয় বার্সেলোনার। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত দলটি। এরমধ্যেই শীর্ষস্থান হারিয়েছে তারা। এমন অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাকিয়ে ছিলেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি। লা লিগার ফিনান্সিয়াল 'ফেয়ার প্লে' নিয়মের কারণে কাঙ্ক্ষিত খেলোয়াড়দের দলে টানতে পারবে না কাতালান ক্লাবটি! 

ডিসেম্বরের প্রায় শেষ দিকে চলে আসলেও এখন পর্যন্ত ফিনান্সিয়াল 'ফেয়ার প্লে' সীমাবদ্ধতার কোনো সুরাহা করতে পারেনি বার্সেলোনা। খুব শিগগিরই এটা সম্ভব হবে না বলেই জানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত। সংবাদ অনুযায়ী, নতুন খেলোয়াড় নয়, আপাতত কাতালানদের সমস্ত মনোযোগ দানি ওলমো এবং পাউ ভিক্টরকে স্বাক্ষর করানোতে।

বার্সেলোনার দুরবস্থা শুরুর আগে এই জানুয়ারির ট্রান্সফারে অন্তত একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলে চেয়েছিলেন ফ্লিক। শারীরিকভাবে শক্তিশালী একজন যিনি ডিফেন্সিভ পিভটে ইতিবাচক হতে পারেন। কোচিং স্টাফ এবং কর্তৃপক্ষ উভয়ই বিবেচনা করেছিল একজন খেলোয়াড়কে, যে পেশীশক্তি ব্যবহার করতে পারে এবং নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে, বিশেষত ম্যাচের শেষ আধা ঘণ্টায়।

যদিও রক্ষণের সামনে মার্ক কাসাদো যে পারফরম্যান্স করছেন তাতে আনন্দিত ফ্লিক। তবে এটাও সত্য যে ইনজুরি এবং খেলোয়াড়ের সীমাবদ্ধতায় তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেননি। প্রারম্ভিক স্তরে এটা তেমন কিছু নয়, তবে ম্যাচের শেষ দিকে যেখানে মার্ক একটু বেশি জীর্ণ হয়ে যাচ্ছেন কিংবা বুকিং নিয়ে আসছেন।

তবে এরিক গার্সিয়াকে কয়েকটি ম্যাচে পিভট হিসেবে ব্যবহার করেছেন ফ্লিক। কিন্তু মার্টোরেল নেটিভ একজন বিশুদ্ধ হোল্ডিং মিডফিল্ডারের প্রোফাইলের সঙ্গে খাপ খান না। যেখানে একজন অভিজ্ঞ রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার প্রতিযোগিতার গতিকে 'অ্যানেস্থেটাইজ' করতে সাহায্য করতে পারে। তাই এই ধরনের সাইনিংকেও দরকারী বলে মনে করেন বার্সা কোচ।

একই সঙ্গে বার্সেলোনার তরুণদের সঙ্গে মিডফিল্ডে আরও কিছুটা অভিজ্ঞতা যোগ করতে চেয়েছিলেন ফ্লিক। উদ্দেশ্য ছিল চূড়ান্ত সময়ে ম্যাচগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এড়ানো, যেমনটা হয়েছে সেলতা ভিগো বা রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে। এমন বিবেচনায় ফ্লিকের পছন্দ ছিলেন লিওন গোরেটজকা।

যদিও একজন সাধারণ রক্ষণাত্মক পিভট নন এই জার্মান তারকা। বরং গোলে পৌঁছানোর নির্দিষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত বায়ার্নে কোনো ম্যাচেই সুযোগ পাননি তিনি। তাকে লোনে নেওয়ার চেষ্টা একটি বিকল্প ছিল। তবে পালহিনহার ইনজুরি গোরেটজকাকে আবারও স্পটলাইটে ফিরিয়েছে। কিন্তু বার্সার জন্য বড় প্রতিবন্ধকতার নাম ফিনান্সিয়াল 'ফেয়ার প্লে'। 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus leaves Dhaka for Ctg on first visit as chief adviser

Prof Yunus departed Hazrat Shahjalal International Airport at 8:45am

27m ago